বাঁকড়া প্রতিনিধিঃঝিকরগাছা উপজেলার জনসাধারণকে করোনা থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হলেন করোনা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সেলিম রেজা।
প্রসঙ্গত, মার্চের শুরুতে যখন দেশে প্রথম করোনা রোগী পাওয়া যায় তখনই সরকারি নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় ঝিকরগাছা উপজেলায় গঠন করা হয় উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি। শুরু হয় করোনা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে দীর্ঘ এ যাত্রা।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দীন মহোদয় ও ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা মনিরুল ইসলাম ভাইয়ের সাথে থেকে উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন আর গ্রামের মেঠোপথে ঘুরে ঘুরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে লিফলেট বিতরণ। ঝিকরগাছাবাসীকে করোনামুক্ত রাখতে দিনের পর দিন তাঁর ছুটে চলা আর বিদেশ থেকে আশা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন মোঃ সেলিম রেজা।
এরপর সাধারণ ছুটি শুরু হলে সেনাবাহিনী আর পুলিশের সহযোগীতায় উপজেলা জুড়ে প্রচার প্রচরণা আর জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে করোনার বিস্তাররোধ সফলতার মুখ দেখে। মহামারি করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের মাঝে সরকারের সাহায্য পৌঁছাতে নির্ভুল তালিকা করণসহ অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরকারের প্রদত্ত ত্রাণ/উপহার উপকারভোগীদের কাছে সুষ্ঠুভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পৌঁছানোর গুরুদায়িত্ব যথেষ্ঠ সুনামের সাথে পালন করে সকলের নিকট প্রসংশিত হয়েছেন। ঝিকরগাছা উপজেলায় এ নিয়ে মোট ৯৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাবমতে, এ পর্যন্ত ঝিকরগাছা উপজেলায় ৫০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমন পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছে।এছাড়া
আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। দুই জন হাসপাতালে আইসোলশনে আছেন। বাকিরা নিজ বাড়িতে আইসোলশনে রয়েছে।