1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

শ্যামনগর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিভিন্ন অপকর্ম ও দূর্নীতি ঢাকতে অবশেষে এক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা

  • প্রকাশের সময় শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০
  • ৩০ বার সংবাদটি পাঠিত

 মোঃ ইব্রাহিম খলিল:  শ্যামনগর খাদ্য গুদামের আলোচিত কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক অপকর্ম ও দূর্নীতি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ স্থানীয় সুনামধন্য আ লিক পত্রিকায় দূর্নীতির খবরটি প্রকাশিত হয়। সত্য খবর প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকায় শ্যামনগর উপজেলা বাদঘাটা গ্রামের জি.এম. আব্দুল কাদের’র পুত্র মোঃ ইব্রাহিম খলিলকে মনগড়া নিজস্ব কাল্পনিক প্রতিনিধি বানিয়ে আমিনুর রহমান নিজের অপকর্ম ও দূর্নীতি ঢাকতে একটি কল্পকাহিনী তৈরী করেন। কল্পকাহিনীর শিরোনামে উল্লেখ করা হয়- মোঃ ইব্রাহিম খলিল তিনি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করে ব্যর্থ হয়ে আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে মুক্ত স্বাধীন পত্রিকায় মিথ্যা দূর্নীতির খবর প্রকাশ করেন। এই মর্মে গুদাম কর্মকর্তা গত ১৯/০৭/২০২০ইং তারিখ মোঃ ইব্রাহিম খলিল কে উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন। অথচ মোঃ ইব্রাহিম খলিল সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি নন। তিনি জানান প্রকৃত পক্ষে খুলনা হতে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোটার ও ঢাকা হতে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্বরত আছে। সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আবুল কালাম’র কাছে প্রকৃতপক্ষে শ্যামনগরের প্রতিনিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোঃ ইব্রাহিম খলিল আমাদের পত্রিকার কোন প্রতিনিধি নন কেউ ভূল তথ্য দিয়েছে। ভুক্তভোগী মোঃ ইব্রাহিম খলিল বলেন- শ্যামনগর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের সাথে সম্প্রতিক সময়ে সরাসরি কিংবা মোবাইল ফোনে আলাপ হয়নি। তাহলে কিভাবে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কাছে উৎকোচ না পেয়ে নিজস্ব প্রতিনিধি হয়ে সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকায় আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্ম ও দূর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করেছেন তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানান প্রশ্ন। খোজ-খবর নিয়ে জানা গেছে আমিনুর রহমান ঘুষ দূর্নীতি সহ বিভিন্ন দালালদের পদচারনায় খাদ্য গুদামকে ইতিমধ্যে নানা অপকর্মের কারখানায় পরিনত করেছে। বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায় ২০১৯ সালে গুদাম কর্মকর্তার সীমাহীন দূর্নীতির কারনে শ্যামনগর সচেতন মহলের ব্যক্তিরা তার নামে মামলা করেন যা এখনও তদন্তধীন আছে। গেল বছর বোরো মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহের নির্ধারিত মূল্য নির্ধারন করা হয়েছিল কেজি প্রতি ৩৮/- (আটত্রিশ) টাকা। নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় বৈধ কাগজপত্রধারী মিলারদের থেকে চাল সংগ্রহের কথা থাকলেও তিনি তা না করে নিয়ম বহিভূত ভাবে ১৮/- (আঠারো) টাকা কেজি দরে কুষ্টিয়া থেকে নি¤œ মানের চাল ক্রয় করে রাতের আধারে খাদ্য গুদামে বস্তা পরিবর্তনের সময় তৎকালিন গুদামের দুই প্রহরী দেখে ফেলে। আমিনুর রহমান তার এই দূর্নীতি ঢাকতে শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। গেল বছর মার্চে স্থানীয় একটি স্বনাম ধন্য পত্রিকায় গুদাম কর্মকর্তা নিয়ন্ত্রিত দূর্নীতির খবরটি প্রকাশিত হয়। গেল ২২শে জুলাই বুধবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় নিয়ম বহিভূত ভাবে কোন প্রকার ডিও ছাড়া ভিজিএফ এর ৮০টন চাউল শ্যামনগর উপজেলা মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের সহযোগীতায় পাচারের উদ্দেশ্যে উত্তোলন করেছেন বলে জানাযায়। এরই প্রেক্ষিতে ২৩শে জুলাই স্থানীয় স্বনাম ধন্য দৃষ্টিপাত পত্রিকা সহ ৩টি আ লিক পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩শে জুলাই সকাল ১০.০০ টার দিকে গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান ০১৭১০-৭০০২৩৬ মোবাইল নং থেকে সাতক্ষীরা হতে প্রকাশিত দৈনিক কাফেলা পত্রিকার শ্যামনগর ব্যুরো প্রধান এস.কে. সিরাজুল ইসলাম সহ ঢাকা হতে প্রকাশিত দৈনিক জনতা পত্রিকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি জি.এম. কামরুজ্জাম কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ জীবন নাশের হুমকী দেয়। এ ঘটনায় খাদ্য কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় পৃথক দুটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। যাহার জিডি নং- ৯৯৭ ও ৯৯৮। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যগুদাম প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্মরত অবস্থায় এক স্থানে দুই বছরের অধিক সময় পার করার কথা না থাকলেও কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ইতিমধ্যে আড়াই বছর পার করে বহাল তবিয়তে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা তার ঘুষ ও দূর্নীতি বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে অত্র গুদামে। বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মহিদার রহমান বলেন, শ্যামনগর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান এর দূর্নীতি ও অপকর্মের বিষয়টি আমি বিভিন্ন পত্রিকায় পড়েছি এটা অত্যান্ত দুঃখ জনক। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি প্রনয়ন করেছেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক অসৎ কর্মকর্তার দূর্নীতির কারনে সরকারের কিছুটা ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের তদন্তপূর্বক খাদ্য গুদাম কর্মকর্ত আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পাশা-পাশি এসব অপ্রীতিকর ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খোজ-খবর নিয়ে জানা গেছে যশোর জেলার অধিনস্থ কেশবপুর উপজেলার পাঁচবাকাবরসি গ্রামের আব্দুল করিম এর পুত্র মোঃ আমিনুর রহমান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় একের পর এক দূর্নীতি ও অপকর্মের কথা প্রকাশিত হওয়ায় মোঃ ইব্রাহিম খলিলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর টার্গেটে লিপ্ত হন। মূলত আমিনুর রহমান নিজের দূর্নীতি ও অপকর্ম ঢাকতে এই অপচেষ্টা মাত্র। মুঠো ফোনে শ্যামনগর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের কাছে মোঃ ইব্রাহিম খালিল কে উকিল নোটিশ প্রেরণ ও সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি হয়ে উৎকোচ চাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আলাপ কালে তিনি আমিনুর রহমান বলেন আমি উকিল নোটিশ দিয়েছি কিন্তু মোঃ ইব্রাহিম খলিলকে আমি চিনিনা বা জানিনা তার সাথে আমার কখনও সরাসরি দেখা কিংবা মোবাইলে কথা হয়নি। তবে আমি অন্য লোকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তিনি মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি। মুক্ত স্বাধীন পত্রিকার অন্য লোকের মধ্যমে সম্পাদকের সাথে আলাপকালে তিনি শ্যামনগর প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল বলে জানান। তিনি আরও বলেন উৎকোচ এর দাবী মোঃ ইব্রাহিম খলিল মোবইল ফোনে বা সরাসরি চাননি অন্য লোকের মাধ্যমে চেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য লোকটি কে জানতে চাইলে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনারা যত পারেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেন আমার কিছু যায় আসে না বলে ফোন কেটে দেন।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION