কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে বুড়িভদ্রা নদীর পাশে ছেলেদের নিয়ে বিধবা আরতী বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে কুড়ে ঘর বেঁধে বসবাস করে আসছে। বিধবা আরতী বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান,২০১৯ সালের মার্চ মাসে স্বামীকে হারিয়েছি আমার স্বামী ছিলেন পেশায় একজন মাঝি।
২ ছেলে সুভ্রত বিশ্বাস ও দেব্ররত বিশ্বাসকে নিয়ে উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাঁচাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বুড়িভদ্রা নদীর কাছে কুড়ে ছোট একটা ঘর বেঁধে কোন রকমে বসবাস করি। নিজের বলতে কোন জমি নেই। বড় ছেলে তিতুমীর কলেজ থেকে পাশ করে ঢাকার একটি প্রাইভেট স্কুলে চাকরি করতেন।করোনার কারণে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। ছোট ছেলে অন্যের জমিতে কৃষি ডিপ্লোমা পড়ছেন। কাজ না থাকাই ছেলেরা বাড়িতে বসে আছে। ডাল ভাত খেয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি আমরা। স্বামীর সাথে ৩০ বছর কাটিয়েছি এই নদীর পাড়ে।স্বামীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই কাঁচা মাটির ঘরে। বর্তমানে যেখান বসবাস করছি সেটাই হলো সরকারি জমি। ২ ছেলে নিয়ে অসহায়ভাবে ঘরে বসে উপার্জনহীন অবস্থায় ত্রæান্তিকাল পার করতে হচ্ছে আমাদের। সরকারি অনুদান ১০ টাকার চালের কার্ড আছে আমার তাছাড়া আর কিছুই নেই। মাঝে মধ্যে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন তার ব্যক্তিগতভাবে আমাদেরকে সাহায্য করেন। আমি বিধবা আরতী বিশ্বাস সরকারের নিকট ভুমিহীন হিসেবে এক টুকরা জমি দাবী করছি যাতে ২ ছেলেকে নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে বসবাস করতে পারি।