স্টাফ রিপোর্টারঃ শহরের বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে তিন রাস্তার মোড়ে রবিউল ইসলাম ওরফে মিন্টু গাজীকে গতিরোধ করে মারপিটসহ গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হামলাকারী ৮ আসামীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করেছেন। আসামীরা হচ্ছে,যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহর নগর ছোট খায়েমখোলা গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের বকচর হুশতলা গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে বিল্লাল,বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের পাশের্^ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রউফ, লাল বাবুর ছেলে ইব্রাহিম খলিল টুলু,বকচর হুশতলার রেজাউলের ছেলে অনিক, বকচর হুশতলা কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া নয়ন ও মিলন,একই এলাকার ইমাদুল হকের ছেলে এহতেশামুল ও একই এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে ইমাদুল।
যশোর শহরের বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতাল রোড বউ বাজারের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে মিন্টু গাজী বাদি হয়ে এজাহারে উল্লেখ করেন,তিনি মটর পার্টস ব্যবসায়ী। গত ৪ মে বিকেলে তিনি বাড়ি হতে বের হয়ে বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের্^ তিন রাস্তার মোড় কামালের চায়ের দোকানের সামনে পৌছালে উক্ত আসামীরা তার গতিরোধ করে। দু’জন আসামী তার দুই হাত ধরলে বিল্লাল মাজা হতে পিস্তল বের করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষন করে। এ সময় আসামীরা তার পকেটে থাকা নগদ ৭৫ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। মিন্টু গাজীর খালাতো ভাই লিটন ঠেকাতে এলে তাকে ছুরি মারার চেষ্টা কালে সে বাশের লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে রক্ষা পায়। মিন্টুগাজীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বিল্লাল ফাঁকা দুই রাউন্ড গুলি বর্ষন করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মিন্টু গাজীকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে সেখান থেকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে এসে আসামীদের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে এলে থানা কর্তা মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করলে আদালতের স্মরনাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে থানা কর্তার মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন এজাহার নামীয় আসামী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি গত ২৪ ঘন্টায়।