যশোর প্রতিনিধিঃ অভয়নগরের একটি গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার তারা যশোর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের মিন্টু অধিকারীর ছেলে তন্ময় অধিকারী, মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাওন গাজি, নজরুল শেকের ছেলে ইনছান মোল্যা, আতিয়ারের ছেলে সোহাগ ও দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
উল্লেখ গত ৩১ মার্চ ১৪ বছরের এক কিশোরী অভয়নগর থানায় গণধর্ষনে অভিযোগে ১৭ জনের নামে মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীকে মামলার আসামি বন্যা ওরফে বর্না চৌধুরী গত ৩০ মার্চ কৌশলে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে বেড়াতে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে বুুইকারা গ্রামে রানা ভাটার পাশে নিয়ে একটি চক্রের হাতে তুলে দেন তরুণীকে। বাঁশ বাগানের ভেতরে নিয়ে কয়েকজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরদিন দুপুরে বুইকারা গ্রামের জগোবাবুর মোড় সংলগ্ন রোস্তম আলী শেখের টিনসেডে ঘরের ভাড়াটিয়া কামাল হোসেনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে ধর্ষণকারী ৮ জনের কাছে থেকে বর্না সহ আরো ৯জন মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। এ ঘটনা পুলিশকে জানালে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার পর অভয়নগর থানা পুলিশ সাতজনকে আটক করে। বাকি দশজন পলাতক ছিলো। সোমবার তাদের পাঁচজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত আসমিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।