কণ্ঠ ডেস্ক
তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করা, সওজ অধিদপ্তরের ভূমির ইজারা মাশুল আগের মতো বহাল রাখার দাবি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক ঐক্য পরিষদ। রোববার (১১ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।তিনি পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারাপ্রাপ্ত ভূমির নবায়নকালীন ইজারা মাশুলের পে-অর্ডার, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে জমা দিলে ইজারা নবায়ন বলে বিবেচিত হওয়ার বিধান করা, বিএসটিআইয়ের আগের মতো শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট স্টেপিং এবং পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং ফিস সমূহ আগের মতো করা, আন্ডার গ্রাউন্ট ট্যাংক কেলিবারেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিআরসি কলকারখানা এবং ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স বা নিবন্ধন বিধান বাতিল করা, দেশের বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে এবং খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন স্থাপন পূর্বক অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রয় বন্ধ করার দাবি জানান।এছাড়া বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ করা, ট্যাংক লরিচালক সংকট থেকে উত্তরণে ট্যাংক লরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স ইস্যু সহজতর করা, গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় যত্রতত্র ট্যাংক লরি না থামানো, তেলের ডিপু গেটে ট্যাংক লরির কাগজপত্র পরীক্ষার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা, সব ট্যাংক লরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করাও দাবি জানায় বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক ঐক্য পরিষদ।ওই পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, চলতি বছর কয়েকবার আমাদের সমস্যা উল্লেখ করে তার সমাধান চেয়ে এবং আমাদের দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়ে সরকার বরাবরে আবেদন করেছি। কয়েকবার আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ মে এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানাই।অন্যথায় ২৫ মে থেকে প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সমগ্র দেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের উত্তোলন, পরিবহন এবং বিপণন বন্ধ থাকবে। তবে হজ ফ্লাইট এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রখার জন্য বিমানের তেল পরিবহন চালু থাকবে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের ভোক্তা সাধারণকে কর্মসূচি শুরুর আগেই চাহিদামাফিক তেল সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করে সংগঠনটি।