জবি প্রতিনিধি
আবাসন সংকট নিরসন, গুম হওয়া সাবেক জবি ছাত্রদল নেতাদের ফেরত, কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে সংগঠনের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, “একটির পর একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চুপ। যারা জুলাই আন্দোলনের শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তারা আজ বিচারব্যবস্থার সংস্কারের বদলে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিবাদ কোনো গোষ্ঠী নয়, এটি একটি ধারণা। যারা এই পথে হাঁটবে, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এক হয়ে আবারও ৫ আগস্টের মতো প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”সংগঠনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পার হলেও এখনো ছেলেদের জন্য কোনো আবাসন সুবিধা নেই। আবাসন ছাড়া শিক্ষার্থীর উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজকে তুচ্ছ ঘটনায় হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সে যে দল বা মতের হোকন কেন সে একজন মানুষ। তার হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন দৃষ্টান্তমূলক নেয়া হয়নি। আমরা দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “আমাদের আক্ষেপ, হারানো আর না পাওয়ার তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে, কিন্তু অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে শূন্যতায় ভুগছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ২০ বছর হলেও ২০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১২৪৮ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য একমাত্র ছাত্রী হলে জায়গা আছে। সেখানে গাদাগাদি করে থাকছেন ২ হাজারের বেশি। ছেলেদের জন্য কোনো আবাসনের ব্যবস্থা নেই। তারা প্রতিদিন মেসে অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন করছে।”তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা যখন চরম সংকটে ভুগছে, তখন প্রশাসন নিজেদের জন্য লিফট নির্মাণ করে। এটি শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে আঘাত করে। আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের উচিত ছিল নিরলস প্রচেষ্টা চালানো এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু তার কোনো নজির দেখা যায়নি। বরং শিক্ষার্থীরা আন্দোলন, অনশনসহ একের পর এক কর্মসূচি পালন করলেও প্রশাসনের গড়িমসি ভাঙছে না।”