1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

শিবির সন্দেহে ৩ বছর আগে গ্রেফতার, জবির সেই ১১ শিক্ষার্থী পেলেন মুক্তি

  • প্রকাশের সময় বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৭ বার সংবাদটি পাঠিত
মুসফিকুর রহমান ,জবি প্রতিনিধি
ছাত্রশিবির সন্দেহে ৩ বছর আগে গ্রেফতার হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া ১১ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা এক গায়েবী মামলা থেকে অবব্যাহতি পান তারা। এ ছাড়াও মামলার বাকি ৬৪ জন অভিযুক্তকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব।এর আগে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। আসামমীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি ২০২২ সালের ২৪ শে মার্চ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি গায়েবী মিথ্যা মামলা। গত বছর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। আজ প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত আসামীদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রউসন-উল দেরদৌস ও শাহিন ইসলাম, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ফাহাদ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, মেহেদী হাসান ও ওবায়দুল, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল, লোকপ্রশাসন বিভাগের মেহেদী হাসান ও সংগীত বিভাগের আল মামুন রিপন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে হওয়া মিছিলে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে ছাত্রশিবির সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় এই ১১ জনকে। গেন্ডারিয়ার একটি মেস থেকে ১১ জনকে সে বছরের ২৪ মার্চ দিবাগত রাতে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষার্থী রউশন উল ফেরদৌস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকায় আসার পরপরই আমি গ্রেফতার হই। আমার জীবন থেকে একটা বছর শেষ হয়ে গেছে এই মিথ্যা মামলায়। আমার গ্রেফতারের খবর শুনে আমার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেন। আমি পড়াশোনা সহ বন্ধু-বান্ধব সবই হারিয়েছি।আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহীন ইসলাম বলেন, আমি ঢাকায় এসেছি ২০২২ এর পহেলা মার্চ। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ২৪শে মার্চ। মাত্র ২৪ দিনের মাথায় আমাকে গ্রেফতার করা হয় কোন ধরনের প্রমাণ ছাড়া। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করে। ঢাকায় আসার একমাস পূর্ণ না হয়েও এক বছর আগের মামলায় আমাদের আসামী হিসেবে দেখানো হয়। মামলা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা আমাদের পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছিল।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION