এস এম আব্দুল্লাহ ,বাগআঁচড়া(শার্শা)
যশোরের শার্শার উলাশী ইউনিয়ন যুবদল নেতা লাল্টুকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় থানায় মামলা করতে যাওয়ার পথে পূনরায় হামলার স্বীকার হয়েছেন তার ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় মোট ৫ জন আহত হয়েছেন।শনিবার রাতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ছোটআঁচড়ার মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।আহতরা হলেন,শার্শা উপজেলার রামপুর গ্রামের জহর আলী বিশ্বাসের ছেলে ও জখম যুবদল নেতা লাল্টুর ভাই মিন্টু বিশ্বাস(৩৫),মিজানুর রহমানের ছেলে ইসরাফিল(৩৫),ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে রফিক বিশ্বাস(৩০),আকবার আলীর ছেলে খাদেম আলী ও ছোটআঁচড়া গ্রামের আব্দুল মড়ল এর ছেলে আমির হামজা (৫৫)।
আহত মিন্টু জানান,গত শুক্রবার রাতে তার ভাই রাজাপুর ওয়াজ মাহফিলে যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে গয়ড়া ব্রিজের কাছে পৌছালে কন্যাাহ গ্রামের রেজাউল মেম্বর, আশানুর ও জনির বাহিনীরা তার ভাইকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রাখে।খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ভাই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।সেই ঘটনায় শনিবার সন্ধায় মামলা করতে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করতে গেলে পথিমধ্যে আবার ও একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী আশানুরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদেরকে মামলা করতে যেতে বাঁধা দেয়।পরে তারা তাদের কথা না শুনে থানায় যেতে চাই তাদের উপর হামলা চালিয়ে দেশীও অস্ত্র বাঁশের লাটি গাঁছি দা ও চাইনিস কুড়াল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৫ জনকে আহত করলে স্থানীরা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায়।পরে তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় সন্ত্রাসী আশানুর ও আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।