ঝিনাইদহ অফিস
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি মৎস ঘেরে ফের ডাকাতের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের রূপদাহ-ব্যাসপুর এলাকার লাল্টু বিশ্বাসের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে। এরআগে গত ১০ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতেও এই ঘেরটিতে ডাকাতেরা আক্রমণ করে। এরপর থেকে এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উপায়ান্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী শৈলকুপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জানা যায়, বুধবার রাতে লাল্টু বিশ্বাসের মাছের ঘের,গরুর খামার ও মুরগির শেডে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাতদল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে গরুর খামার ও মুরগীর শেডের চাবি চান ডাকাতদলের সদস্যরা। তা না দিলে দরজা ভাঙতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ দিতে থাকেন ডাকাতদল। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘেরের মালিককে ফোন দিলে শতাধিক গ্রামবাসী লাঠিসোটা নিয়ে ঘেরের দিকে আসতে থাকেন। বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরআগে গত ১০ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে ডাকাতদল এই খামারটিতে হানা দেয়। দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মী আলামিনকে জিম্মি করে গরুর খামারে লাগানো তালার চাবি নেয় ডাকাতদল। পরে সেখান থেকে ৩ টি গরু বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার পথে জিম্মি হওয়া আলামিন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে ঘের মালিককে ফোন দেন। এসময় এলাকাবাসী লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়,বিগত কয়েকমাস ধরে এলাকাটিতে ডাকাতদল প্রভাব বিস্তার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। ফলে এলাকাটিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘেরের মালিক লাল্টু বিশ্বাস বলেন,’পরপর দুবার আমার ঘেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘেরের মাছ,গরুসহ লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদের কোন নিরাপত্তা নেই। এমনকি নিরাপত্তাকর্মীদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। এমন চলতে থাকলে এখানে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ডাকাতদল পুরো গ্রামটিতেই এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটাবে। এব্যাপারে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন,ডাকাতির বিষয়ে এখনও আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি ভুক্তভোগী অভিযোগ দেয় তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।