মাবিয়া রহমান,মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ
সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মণিরামপুরের হোগলাডাঙ্গা দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার টিনশেডের ২টি আধাপাকা বিল্ডিং ও মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদ। মাদ্রাসার ভবন আধাপাকা ও টিনশেডের ছাউনি হওয়ায় আম্পানের প্রবল বাতাসে চালের টিন দুমড়ে মুচড়ে উড়ে যাওয়াসহ গাছের ডালে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। এতে মাদ্রাসার ওই ভবনে পাঠদান সম্পূর্ন অসম্ভব বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ১৯৮৪ সালে হরিদাসাঠি ইউনিয়নে হোগলাডাঙ্গা দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সুনামের সাথে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা দিয়ে আসছেন ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী। এ অবস্থায় গত ২৩ মে রাতে সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে মাদ্রাসার টিনশেডের ২টি ভবনের উপর গাছের বড় বড় ডাল ভেঙ্গে পড়ে ও প্রবল বাতাসে ১টি ভবনের সম্পূর্ন টিনের চাল উড়ে যাওয়াসহ মাদ্রাসার সংলগ্ন মসজিদের চালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এতে শ্রেণিকক্ষসহ মাদ্রাসার ভবন ও তৎসংলগ্ন মসজিদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। যা প্রতিষ্ঠান খোলার পর ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদানের সম্পূর্ন অসম্ভব বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আব্দুল ওহাব।
মাদ্রাসার সভাপতি শেখ নওয়াব উদ্দীন মাষ্টার বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মাদ্রাসাটির অবস্থা এখন খুব খারাপ। যে কয়টি শ্রেণি কক্ষ ছিল সব কয়টি ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাটিতে পড়ে আছে টিনের চাল। বিধ্বস্থ হওয়া টিনশেডের ভবন ২টি ও মসজিদ পুনরায় মেরামত করতে সময়সহ ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন। দ্রুত মেরামত না করতে পারলে মাদ্রাসা খুললে ছাত্র/ছাত্রীদের খোলা আকাশের নীচে পাঠদান করতে হবে। তাই সরকারি সাহায্য পেতে মাদ্রাসার সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
এলাকার কয়েকজন অভিভাবক জানান, ঝড়ে মাদ্রাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সংস্কার কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন। এজন্য সরকারিভাবে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ পেলে মাদ্রাসা খুললে ছাত্র/ছাত্রীদের ক্লাস করতে কোন সমস্যা হবে না।