ঝিনাইদহ অফিস
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নামপত্তনে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তার নাম মোঃ জামাল হোসেন। এক অভিযোগে জানাগেছে, বিগত ২০১০ সালে সদর উপজেলার রাজধরপুর গ্রামের এক সন্তানের জননী ঝর্ণা খাতুন তার স্বামী সবুর মিয়ার কাছ থেকে হেবা দলিলমূলে ৬৭ শতক জমি প্রাপ্ত হন। ২০১১ সালে সবুর মিয়া মারা যাবার পর ২০১৩ সালে ঝর্ণা খাতুন হেবা দলিলমূলে নামপত্তন জমাখারিজ করেন। এরপর গত বছর ডিসেম্বরে ঝর্ণা খাতুন ৬০ শতক আবাদী জমি ও ৭ শতক বসতভিটা মোট ৬৭ শতক জমি ২০ লক্ষ টাকায় একই গ্রামের মৃতঃ আফসার শেখের পুত্র রওশন শেখের কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর রওশন শেখ দলিলমূলে তার নিজের নামে দলিলমূলে নামপত্তন করা জন্য হরিশংকরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে ভূমি কর্মকর্তা জামাল হোসেন নানা রকম তালবাহানা করে তার কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন। পরে রওশন আলী উক্ত ভূমি কর্মকর্তাকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। এরপর উক্ত দূর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তা জমির দখলে থাকা মৃত সবুর মিয়ার প্রথম স্ত্রী বিউটি খাতুনের বড় ছেলে সোহেল মিয়ার কাছ থেকে রওশনকে নামপত্তন করে না দেয়ার শর্তে ৫০ হাজার টাকা পূনরায় ঘুষ গ্রহন করেন। যে কারনে জমি ক্রেতা রওশন আলী আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও আজো নামপত্তন জমাখারিজ করতে পারেননি। ভূমি অফিসে গেলে উক্ত দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তা জামাল হোসেন নানা অজুহাতে রওশন আলীকে দিনের পর দিন হেনস্তা করেই চলেছেন। এ ব্যাপারে হরিশংকরপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা জামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি রওশন আলী নামের কাউকে চিনি না। বিষয়টি মিথ্যা।