ঝিনাইদহ অফিস
ঝিনাইদহে রাতের আধারে ঘোড়া জবাই করে চামড়া মাংস নিয়ে চামড়া ফেলে গেছে কে বা কাহারা। এ ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। রোববার সকালে সদর উপজেলার হাটগোপালপুরে এঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাট গোপালপুর বাজারে ৫/৬ মাস ধরে ঘুরে বেড়াতো একটি কানা ঘোড়া। বেশিরভাগ সময় হাট গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেতো ঘোড়াটিকে। ঘুরতো আর স্কুল মাঠে জন্মানো ঘাস খেয়ে জীবন নির্বাহ করতো ঘোড়াটি। শনিবার রাতের যেকোনো সময় ওই ঘোড়াটিকে জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে আর চামড়া, ঘোরার মাথা ও ভুড়ি স্কুল মাঠে ফেলে রেখে গেছে দুস্কৃতকারীরা। স্থানীয়া এরকম আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখতে পেয়ে তাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকে ধারণা করছেন ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে কোনো রেন্টুরেন্টে বিক্রি করতে পারে। হাট গোপালপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের আশেপাশে অন্ধ ঘোড়াটি ঘোরাঘুরি করতো। ঘোড়াটি কার আমরা কেউ জানি না। ঘোড়াটি অন্ধ হওয়ায় আমরা মাঝে মধ্যে খাবার খেতে দিতাম। কিন্তু সকালে বাজারে এসে ঘোড়াটি কোথাও দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে স্কুল মাঠে একটি ঘোড়ার মাথা, ঘোরার চামড়া ও ভুড়ি পড়ে থাকতে দেখি। আমাদের ধারণা রাতের অন্ধকারে ঘোড়াটি কে বা কাহারা জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন আমাদের হাটে সেই মাংস অন্যান্য মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করা হবে না এর কোন নিশ্চয়তাও দেখছি না। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রিফাত বলেন, ঘোড়াটি অন্ধ হলেও আমাদের কাছে অনেক প্রিয় ছিল। ঘোড়াটি অন্ধ থাকায় বেশিরভাগ সময় স্কুল মাঠেই থাকতো। আমরা ঘোড়াটিকে প্রতিদিন খাবার খেতে দিতাম এবং দেখাশোনা করতাম। কিন্তু কে বা কাহারা ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে। আর অবশিষ্ট অংশ মাঠে ফেলে রেখে গেছে এটা দেখে আমাদের খুব কষ্ট লাগছে। কিভাবে পারলো ঘোড়াটি জবাই করে এভাবে মাংস নিয়ে যেতে। এব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ঘোড়ার মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী না। তিনি বলেন ঘোড়ার মাংসের মাত্রা অতিরিক্ত এসিড থাকে ফলে ঘোড়ার মাংস খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। বাজারে এমন মাংস বিক্রির শঙ্কা তৈরি হলে আমরা প্রয়োজনে মাংস পরীক্ষা করতে পারি। এতথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় হাটগোপালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাত্তার বলেন,কে বা কারা রাতের আধারে ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে। ফেলে রেখে গেছে কাটা মাথা ও চামড়া। অন্ধ ঘোড়াটির এই পরিণতি ও ঘোড়ার মাংস বিক্রির আশঙ্কায় এলাকার সকল মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।