কণ্ঠ ডেস্ক
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র উগান্ডার সেনাপ্রধান। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুনিয়াতে সব সশস্ত্র পক্ষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ না করলে সেখানে হামলা চালাবেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। কোনও প্রমাণ পেশ না করেই শনিবার আকস্মিকভাবে কাইনেরুগাবা দাবি করেন, বাহিমা গোষ্ঠীর সদস্যদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তারা আমার লোক। পৃথিবীর কেউ আমার লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে পার পাবে না।প্রায়ই বিদেশনীতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার রেকর্ড রয়েছে উগান্ডার সেনাপ্রধান কাইনেরুগাবার। তার দাবি, তার বাবা ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়েরি মুসেভেনির অনুমতিতেই এই হুমকি দিয়েছেন তিনি। অবশ্য উগান্ডা সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। পৃথক এক পোস্টে তিনি সেদিনই হুমকি দেন, দ্রুতই উগান্ডার সেনারা বুনিয়ার দখল নেবে। উগান্ডার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার এই হুমকি কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাত বৃদ্ধির ইন্ধন জোগাতে পারে। এই সংঘাত একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার এম২৩ বিদ্রোহীদের এক নেতা জানান, তারা কঙ্গোর দ্বিতীয় বৃহত্তম পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুকাভুতে প্রবেশ করেছে। এর আগে জানুয়ারির শেষ দিকে তারা বৃহত্তম শহর গোমা দখল করেছিল। জাতিসংঘ সূত্রের বরাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সহস্রাধিক বাড়তি সেনা কঙ্গোতে পাঠিয়েছে উগান্ডা। আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী দমন অভিযানের অংশ হিসেবে তারা সেখানে আছে। তবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোপনে তুতসি সম্প্রদায়ের নেতৃত্বাধীন এম২৩ বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে দেশটি। কাইনেরুগাবা প্রকাশ্যে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কাগামে অবশ্য কঙ্গোতে এম২৩ বিদ্রোহীদের পক্ষে রুয়ান্ডার সেনা উপস্থিতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগে, ২০২২ সালে এম২৩ বিদ্রোহীদের ভাই বলে অভিহিত করেছিলেন কাইনেরুগাবা এবং দাবি করেছিলেন, তারা কঙ্গোতে তুতসিদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়ছে। কাইনেরুগাবার হুমকির বিষয়ে কঙ্গোর যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুইয়া এবং দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া পায়নি রয়টার্স।