নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাচিনতম ঐতিহ্যবাহী রূপদিয়া বাজার। এবাজারটি ঘেষে বয়ে চলেছে “ভৈরব নদী। যদিও কালের বিবর্তনে নদীটি নব্যতা হরিয়ে সরু হয়ে গেছে। এক সময়ের প্রাণচঞ্চলা নদীটি এখন ময়লা-আবর্জনার উন্মুক্ত ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে-সেখানে বড়বড় একেকটা ময়লার পাহাড়! সারা বাজারের ময়লা নিয়ে ফেলা হচ্ছে নদীর পাড়ে। এর ফলে নদীটির চারপাশের এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তিব্রপঁচা দূর্গন্ধ। অতিষ্ঠ্য হয়ে উঠেছে জন-জীবন। তিব্র এই দূর্গন্ধে এক স্থানে দাড়ানো দুষ্কর। ঐতিহ্যবাহী এই বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র কমদূরত্ব দুই’টি ইউনিয়ন পরিষদ দপ্তর। তাও দুটোই এই ভৈরব নদীর এ’পাড় আর ও’পাড়। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি। ফেলে রাখা ময়লা-আবর্জনার বিকট গন্ধে যেন টেকা দায়। বেলা বাড়ার সাথে-সাথে যতই খরতাপের প্রখরতা ও বৃষ্টি হয়ে গেলে বৃদ্ধি পায় এই পঁচা দূর্গন্ধ। মানবসৃষ্ট ছড়ানো এই দূর্গন্ধ থেকে যেন পরিত্রানে উপায় নেই? কেই বা দেখবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সৃষ্ঠাচারিতা। অভিযোগ রয়েছে গরু, ছাগল ও মুরগী বিক্রেতারা এ সকল পশুর উচ্ছিষ্ট অংশ, যেমন মুরগীর নাড়িভুড়ী, রক্ত, বাদ দেয়া মাংস সহ বাজারে সব ধরনে ময়লা এনে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ফেলে রাখায় পঁচা দূর্গন্ধ ভৈরব নদী থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ জুড়ে। এতে ব্যাপক ভাবে নষ্ট হচ্ছে বাজার কেন্দ্রিক পরিবেশের। জানাগেছে- রূপদিয়া বাজারের গোশত বিক্রেতারা ভৈরব নদীর পাড়ে পশু জবাইয়ের কাজ সারে। যদিও পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত বেশকিছু নিতিমালা রয়েছে। যার ছিটেফোঁটাও তোয়াক্কা করেনা এবাজারের ব্যবসায়ীরা। জবাইকৃত পশুর রক্ত ও বাদ দেয়া মাংসের অংশ মাটিতে পুঁতে না রেখে নদীর পাড়ে খোলাস্থানে ফেলে রাখে। আর এধরনের কর্মকান্ড অবলিলায় চলে প্রত্যেকটা দিনই। কান্ডজ্ঞানহীন অধিকাংশ গোশত ব্যবসায়ীদের ফেলে দেয়া রক্ত-মাংস খোলাস্থানে ফেলানোর ফলে তা পঁচে যেয়ে চরম দূর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। আর তা বাতাসে সেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে এলাকা জুড়ে। এব্যাপারে রূপদিয়া বাজার বণিক সমিতি’র সভাপতি ইকবল হোসেন মোল্যা বলেন- রূপদিয়া বাজারের বেশ কিছু অংশে ইদানিং তিব্র পঁচা দূর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টা জানতে পেরেছি। মূলত: ব্যবসায়ীদের অসচেতনার কারনে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা নদীর পাড়ে ফেলে রাখা সহ বিভিন্ন কারনে এই গন্ধের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এব্যাপারে আমাদের বণিক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।