নিজস্ব প্রতিবেদক,যশোর
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে এক কৃষকের জমির শসা ও কাঁচা হলুদ গাছ ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যারাতে ওমরপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হলেন,রায়পুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের প্রয়াত ইয়াকুব্বার খাঁর ছেলে ইমারত খাঁ। তিনি অভিযোগ করে বলেন,শক্রুতা করে তার সৎভাই সুলতান খাঁ ও আমানত খাঁ এবং সুলতান খাঁর দুই ছেলে কুরবান আলী ও ওসমান খাঁ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা রাতের আঁধারে ১১ শতক জমিতে রোপণকৃত শসা ও ৯ শতকের কাঁচা হলুদ গাছ ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করেছেন। এতে প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়,৬ বছর আগে তার পিতা ইয়াকুব্বার খাঁ মারা যান। এর আগে থেকেই ইমারত খাঁ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শসা ও কাঁচা হলুদের খেতসহ কয়েকটি দাগে জমি ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমিতে বোনেরও অংশ রয়েছে। কিন্তুু গোপনে ৫৩নং ওমরপুর মৌজায় বোনের অংশের ১২টি দাগ থেকে ৩৫.৮২ শতক জমি তার মেয়ের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি করে নেন, সুলতান খাঁ ও তার তিন ছেলে। বিষয়টি জানতে পেরে বিজ্ঞ আদালতে হকসেবা করেন ইমারত খাঁ। এরপর জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করলে আদালতে পিটিশন মামলা করেন তিনি। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যারাতে ট্রাক্টর দিয়ে ১১ শতক জমিতে রোপণকৃত শসা ও ৯ শতকের কাঁচা হলুদ গাছ নষ্ট করেছেন অভিযুক্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ইমারত খাঁ জানান, এ ঘটনা তার স্ত্রী ছবুরননেছা ও ওমরপুর গ্রামের লুৎফর রহমানসহ কয়েকজন দেখে ফেলায় তাদের ওপর বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি পরিবার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে, অভিযুক্ত সুলতান খাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।