নিজস্ব প্রতিবেদক
বহু বিতর্কিত ফ্যাস্টিট সরকারের দোসর মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুর রউফকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার এই পদোন্নতিতে অধিদপ্তরের ভেতরে বাইরে চলছে নানা সমালোচনা। গত ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে মন্ত্রী পরিষদ সচিবের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীর করা গুরুতর অভিযোগ তদন্তধীন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাকে পদোন্নতি দেওয়ায় ফ্যাস্টিট হাসিনার দোসরদের পুরস্কার ও পুর্নবাসন করা হবে বলে মনে করেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রানালয়ের উপসচিব হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত ৩৩.০০.০০০০.১২৬.১০.০০১.১৫.৭৮৫ নং স্মারকে এক পত্রে তার বিরুদ্ধে অনুমোদন ও সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ দেন। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে মহাপরিচালক করা হয়েছে। এতে করে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ ফ্যাস্টিট আওয়ামী সরকারের দোসর। তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। ফ্যাস্টিট হাসিনা সরকারের সময় নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী বলে প্রচার করতে থাকেন। আওয়মী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার তদারকি করেন। নিয়ম না থাকলেও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি েেপয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। শুধু তাই নয়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথান চলাকালে সংসদ ভবনের লেকে পোনা ছাড়ার নামে মৎস্য ভবনে কর্মরত সকল কর্মচারীদের ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ শিরোনামে শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বাধ্য করেন। অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, আব্দুর রউফ একজন নারী লোভী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারীর একাধিক অভিযোগ।