জহুরুল ইসলাম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যশোর-কুস্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক বিশিষ্ট রাজনীতিক মোবারবক হুসাইন বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাতে দূর্বৃত্ত ও পতিত সরকারের দোসররা ক্ষমতায় না আসতে পারে সে জন্য ভুমিকায় শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের প্রত্যেক নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ দেশে ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ কায়েম করতে চায়, আল্লাহর রুহুলিয়াত কায়েম করতে চায়। এজন্য জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমান সারাদেশে ছুটে চলছেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। দেশের জনগনও আগামী দিনের জন্য জামায়াতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। তিনি বলেন, ইনসাফপূর্ণ সমাজ যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে শ্রমিক শ্রেণী-খেটে খাওয়া মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে, তারা নির্যাতনের শিকার হবেনা। এজন্য আমাদের একটি আওয়াজ হবে আমরা আগামীতে ইনসাফপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে বদ্ধ পরিকর। জামায়াত নেতা মোবারক হোসেনন বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন যশোর জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সংগঠনের যশোর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা ও জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামায়াতের যশোর-কুস্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের যশোর-কুস্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক মশিউর রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের, মো. আব্দুর রহিম, দ্বীন ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান জহুরুল ইসলাম প্রমুখ। জামায়াত নেতা মোবারক হোসেন বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গোটা দেশকে জিঞ্জিরাবদ্ধ করে রেখেছিলো, কারাগারে পরিনত করছিলো। যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে মজলুম সংগঠন হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন। এই সংগঠনের ১১ জন রাহবারকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শহীদ মতিউর রহমান, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, আব্দুল কাদের মোল্যা অন্যতম। বিনা বিচারে কারাগারে মেরে ফেলা হয়েছে বর্ষীয়ান রাজনীতিক অধ্যাপক গোলাম আযম, কুরআনের পাখি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে। কিন্তু শত নির্যাতন করেও জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করতে পারেনি। এদেশের ছাত্র জনতার গণঅভ’ত্থানে সেই স্বৈরাচার হাসিনাকে পালাতে বাধ্য হতে হয়েছে। আল্লাহ গোটা বিশ্ববাসীকে তার নজির দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পাশের রাষ্ট্রে বসে তার নেতাকর্মীদের উজ্জিবীত করতে বলছে আমি টুপ করে যেকোনো সময় ঢুকে পড়বো। কিন্তু আমাদের স্পষ্ট বার্তা তাকে টুপ করে ঢুকতে দেয়া হবেনা। আমরাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। ধরে আনা হবে, ফাসির কাষ্টে উঠানো হবে। গণহত্যাকারী হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করা হবে। শেখ হাসিনা যে আয়না ঘরে শত সহ¯্র নিরীহ মানুষকে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে সেই আয়না ঘরেই শেখ হাসিনার ঠিকানা হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন যশোর জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান অতিথি মোবারক হোসেন। যশোর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন এর নবগঠিত কমিটির ২০২৪ নেতৃন্দ হলেন, সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক খান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক নুরুল আমিন,সহ সেক্রেটারি রহমান, সহ সেক্রেটারি মহিলা মাসুদা বেগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিল্লুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য রবিউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মোঃ আশিক উল্লাহ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোহাম্মদ আদম আলী, পাঠাগার ও পুরস্কার ঘোষণা সম্পাদক মোহাম্মদ অহিদুজ্জামান, ক্রিয়া ওসাংস্কৃতি সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, আইন ও আদালত সম্পাদক হামিদুর রহমান, সাহায্য ও পূর্নবাসন সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সদস্য মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম ঝিকরগাছা , মোঃ আব্দুস সালাম কেশবপুর, মো. রফিকুল ইসলাম মনিরামপুর, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বেনাপোল, মোতুহিনুর রহমান চৌগাছা, মোঃ হাবিবুর রহমান শার্শা, মোহাম্মদ অলিউজ্জামান মনিরামপুর,মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম অভয়নগর, মোঃ ইউনুস আকন্দী অভয়নগর, মোহাম্মদ অলিউল্লাহ কেশবপুর।