ঝিনাইদহ অফিস
ঝিনাইদহ নলডাঙ্গা শামছুল আলম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইকবাল আনোয়ার হোসেন যেন সুপারম্যান,একাধিক নারি কেলেঙ্কারীর অভিযোগ নিয়েও বহাল তবিয়তে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা শামছুল আলম খাঁন দাখিল মাদ্রাসায় অবস্থান করছে। স্থানীয়ভাবে আলোচিত এই সুপার গত (৩০ নভেম্বর) শনিবার নিজ প্রতিষ্ঠানের দপ্তরী আঃ সালামের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ইতিপূর্বে কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসা ছুটির পরে ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অপরাধে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত হয়। এছাড়া কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন আড়পাড়া ও ঝিনাইদহে নারি সহ হাতে নাতে আটক হয়ে সমালোচিত হয়েছে। ৫ আগষ্ট দেশে পটপরিবর্তন হলে এই সুপার ইকবাল আনোয়ার প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে রাতে হাজিয়া খাতায় সহি করে প্রতিষ্ঠান চালাতেন। গত ১২ নভেম্বর বিএনপি’র পার্টি অফিস ভাংচুর নাশকতা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। আওয়ামী ঘরনার এই সুপার ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের সময়কালে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের সবকিছুকে কুক্ষিগত করে নিজের অবৈধ নিয়োগকে বৈধ করেন। এছাড়া তদবির,যাকে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া সহ অর্থ কেলেঙ্কারীর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আলোচিত আছে। নারি কেলেঙ্কারির বিষয়ে নলডাঙ্গা শামছুল আলম খাঁন দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইকবাল আনোয়ারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। স্থানীয়রা মনে করেন, নারি লোভী এই সুপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে অচিরেই স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান নষ্ট হবে। এব্যাপারে নলডাঙ্গা শামছুল আলম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইকবাল আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি মামলায় জামিন নিয়েছি। প্রতিপক্ষরা জামিনে আটকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের যড়যন্ত্রসহ মানহানি কাজে লিপ্ত হয়েছে।