সাতক্ষীরা শহরের মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জীবানুনাশক ব্যবহার করা, মাক্স ও হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করাসহ মোট আটটি শর্তের একটিও মানছে না কেউ।
বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই, জমে উঠেছে সাতক্ষীরার ঈদ বাজার। সরকারি সিদ্ধান্তের পর আটটি শর্ত জুড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীদের সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। তবে আটটি শর্তের একটিও মানছেন না ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, আমরা নিরুপায় আর ক্রেতারা সচেতন নয়। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন প্রশাসনিক কোনো নজরদারি নেই মার্কেটগুলোতে।
সাতক্ষীরা শহরের মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জীবানুনাশক ব্যবহার করা, মাক্স ও হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করাসহ মোট আটটি শর্তের একটিও মানছে না কেউ। করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো গোটা বাংলাদেশও যখন আতঙ্কে তখন সাতক্ষীরায় কারো মাঝে নেই উদ্বেগের কোনো ছাপ। দেশ যে করোনার মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটিও বোঝার উপায় নেই।
সাতক্ষীরা শহরের আমতলা মোড় এলাকার বাসিন্দা শেখ সবুজ হোসেন জানান, শহরে ঢুকে মার্কেটগুলো দেখলে মনেই হবে না দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি চলছে। করোনা ঠেকাতে প্রধান শর্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তবে কারো মাঝে সেই বিধিনিষেধের বালাই নেই। উপচে পড়া ভিড় লেগেছে সকল বিপণীকেন্দ্রে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় সাতক্ষীরা সদর থানার পাশের মিম গার্মেন্টেসসহ রনি মার্কেটের সকল দোকানগুলোতে। বিধিনিষেধের মানা হচ্ছে না সেখানেও।
মিম গার্মেন্টেসের মালিক তাজুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশের যে আটটি শর্ত, সেগুলো আমরা মানছি। দোকানের সামনে স্বেচ্ছাসেবক রেখে দিয়েছি। কিন্তু ক্রেতারা কেউ সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মানছেন না। তারা সচেতন না হলে আমরা কি করবো ?
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের দোকান খুলে রাখাই ঠিক হয়নি, তবে কোনো উপায়ও নেই। কোটি টাকার গার্মেন্টস সামগ্রী পড়ে রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। দোকান না খুললে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
শহরের বাসিন্দা মার্কেটের ক্রেতা ওবায়দুর রহমান বলেন, কেউ কোনো বিধিনিষেধ মানছে না। প্রশাসনের কোনো নজরদারি আমি আসার পর দেখিনি। তবে অন্য কোথাও থাকতে পারে। সাতক্ষীরায় করোনা এখনো সেভাবে প্রভাব বিস্তার করেনি। তবে বিষয়টি জরুরিভাবে না দেখলে সাতক্ষীরায় যেকোনো সময় করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দীন ও সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতিষ্ঠানের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মাস্ক পরা, হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করা, চার ফুট দরত্বে ক্রেতাদের অবস্থান নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়াসহ ৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ৮ দফা নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আগনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।