কণ্ঠ ডেস্ক
যশোরে ডাক্তার শামারুখ মাহজাবীন শামা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবিতে যশোরে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। এ সময় হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যশোরের কৃতি সন্তান উদীয়মান ডাক্তার শামারুখ মাহজাবীন শামাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর এটিকে আত্মহত্যা বলে সাজানো হয়েছে। অভিযুক্তরা বিগত সরকারের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগে নেতা হওয়াতে বিচার প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করেছে। গত এক দশক ধরে সন্তান হত্যার বিচারের দাবিতে পথে পথে ঘুরছে শামার বাবা। এটা কোন ভদ্র সমাজের কাজ হতে পারে না। ক্ষমতা সমাজকে কত বর্বরতা শেখায় এটাই প্রমাণ করে এই মামলা। নেতৃবৃন্দ শামা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন শামারুখ মাহজাবিনের পিতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, আইইডিবি যশোর শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতা হারুন অর রশীদ এবং আইইডিবির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহল আমিন।
এর আগে, একই দাবিতে সকালে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে শামারুখের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা খান টিপু সুলতানের বাসা থেকে তার পুত্রবধূ ডা. শামারুখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ১৪ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় শামারুখের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।মামলার আসামিরা হলেন, ডা. শামারুখের শ্বশুর সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান, শাশুড়ি জেসমিন আরা বেগম, স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাব। মামলা নম্বর ১৩। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি নিয়ে ধুম্রজাল ছিল। ফলে বাদীর আপত্তিতে দাফনের ১৭ দিন পর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর মরদেহ উত্তোলন করে দুই দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়। তারপরও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি দাবি মামলার বাদীর।