শাহাদাত হুসাইনঃ কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে,তুমি আসবে বলে, এখন সময় কৃষ্ণচূড়ার রঙ বাহারি রঙে আবীরে মাতোয়ারা হবার। এই গৃষ্মকালে কাঠফাঁটা রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবীর নিয়ে প্রকৃতি সেজে উঠেছে বর্ণিল রুপে। দেখলেই মনে হয় প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙে আগুন জালছে। যে দিকে চোখ যায় সবুজের মাঝে শুধু লাল রঙের মূর্ছনা, প্রকৃতির এই অপরুপ রঙে সেজেছে প্রতিটি রাস্তা ঘাট ও গ্রামের আনাচ কানাচ। লাল হলুদ রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। বৈশাখ এলেই যেনো প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে লাল লাল হয়ে হেঁসে উঠে কৃষ্ণচূড়া ফুল। চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতু রাজকেও।
ঋতুচক্রের আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবার হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। কৃষ্ণচূড়ায় লাল আবীর গ্রীষ্মকে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা। বৈশাখে কৃষ্ণচূড়া তার লাল আবীর নিয়ে পাকা রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে আপন সৌন্দর্যের মহিমা নিয়ে। দেখে মনে হচ্ছে ঋতু রাজ বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে কৃষ্ণচূড়া তার সমস্ত রং প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির দিকে তাকালেই তার মুগ্ধতায় যে কারোরই দৃষ্টি তৃপ্ত হবে। তাইতো কৃষ্ণচূড়া দেখেই কবি তার ভাষায় বলেছিলেন “কৃষ্ণচূড়া আগুন তুমি আগুন ঝরা বানে, খুন করেছে শূন্য তোমার গুন করেছ গানে”।
জানা গেছে, এই কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। আমরা না জেনে একে কৃষ্ণচূড়া ফুল বলে থাকি। লাল রঙের ফুলকে কৃষ্ণচূড়া ও হলুদ রঙ্গের ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। তবে হলুদ রঙের রাধাচূড়া এখন তেমন দেখা যায় না বললেই চলে। আমাদের দেশে এপ্রিল মাসে এই ফুল ফোটে। বছরের অন্যান্য সময় এই ফুল সচারচার চোখে না পড়লেও এপ্রিল মে মাসে যখনি গাছে নতুন পাতা বা ফুল ফোটা শুরু করে তখনি যেন পথচারির নজর কাড়ে মনোমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া। পথের মধ্যে লাল ও হলুদ কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মনে হয় একটু থেমে নেই। প্রতিটি গ্রামে এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল হলুদ ফুলের সমারহ।
কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। তবে এর ডালপালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষ কৃষ্ণচূড়া গাছ বর্তমানে রাস্তার দুই ধারে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদের আঙিনায় শোভা পাচ্ছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি লাল হলুদ রঙের হয় এর ভিতর অংশে হালকা হলুদ রং যুক্ত। অনেক দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছে গাছে যেন আগুন জ্বলছে।