স্টাফ রিপোর্টার
যশোরে পৃথক দু’টি সড়ক র্দুঘটনায় মহিলাসহ ৩জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৪বছরের শিশু কন্যা রাজিয়া আহত হয়েছে। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সকাল ৮টার দিকে যশোর শহরের বকচর জামিয়া মাদ্রাসার সামনে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল দুর্ঘটনায় ২চালক নিহত এবং একই দিন সকাল ১০টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরালী গ্রামের প্রধান সদকের উপরে চার্জার চালিত ভ্যানের উপর থেকে পড়ে মহিলা নিহত ও তার ৪বছরের শিশু আহত হন।নিহতরা হলে,মোটরসাইকেল চালক মেহেদী হাসান রনি(২৪) তিনি সদর উপজেলার পশুয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। এঘটনায় নিহত অপরজন হলেন বাইসাইকেল চালক আব্দুল্লাহ(৩৫) তিনি শহরতলীর ঝুমঝুমপুর এলাকার শুকুর মিয়ার ছেলে। এছাড়া চার্জার চালিত ভ্যানের ওপর থেকে পড়ে রোজিনা খাতুন(২০)নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ৪বছরের শিশু কন্যা রাজিয়া আহত হয়েছে।নিহত আব্দুল্লাহর স্ত্রী আসমা খাতুন জানিয়েছেন, তার স্বামী কানাইতলা বিসমিল্লাহ হ্যাচারিতে মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার সকাল ৮টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে শহরের বকচর জামিয়া মাদ্রাসার সামনে পৌছালে একটি মোটরসাইকেলের সাথে বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে উভয় রাস্তার উপরে পড়ে আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালক মেহেদী হাসান রনি’র মৃত্যু হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে আব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়।যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, নিহত দু’জনের মাথায় আঘাত লাগার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, একইদিন সকাল ১০টার সময় ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরালী গ্রামে চার্জার ভ্যানের উপর থেকে রাস্তার উপরে পড়ে আহত হন রোজিনা খাতুন ও তার ৪বছরের শিশু কন্যা রাজিয়া আহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে মা ও মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে যশোর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। স্বজনরা বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মা ও মেয়েকে যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক, মা রোজিনা খাতূনকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় মৃতের ৪বছরের শিশু কন্যা রাজিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক বলেন, শিশুটির মাকে হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়।