কণ্ঠ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছে যে, ইসরায়েলের ওপর আরেকটি হামলা চালালে তারা ইসরায়েলকে থামাতে পারবে না। এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের কাছে সরাসরি বার্তা পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। সংবাদমাধ্যমটি একজন অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলের সাবেক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে। মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা ইরানকে জানিয়েছি, ইসরায়েলকে আমরা থামাতে পারব না। পরবর্তী হামলাটি আগের মতো নিয়ন্ত্রিত ও নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকবে, তা নিশ্চিত করার ক্ষমতা আমাদের নেই।সূত্র মতে, ইরানকে এই বার্তাটি সরাসরি জানানো হয়েছে। তবে, ইসরায়েলি সূত্রের মতে, বার্তাটি ইরানে পৌঁছানো হয় সুইস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে। এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরান ও তার মিত্রদের ওপর হামলার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংসাত্মক জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে, ইরান আবারও ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। অক্টোবরের শেষদিকে তেহরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার জবাব হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ইরানের অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে চলতি মাসের শুরুর দিকে ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে সামরিক স্থাপনা এবং কিছু আবাসিক এলাকায় সামান্য ক্ষতি হলেও, পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারান। উভয় পক্ষের মধ্যে আরেকটি সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযানকে আরও বিস্তৃত করতে পারে ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ হিসেবে মার্কিন কর্মকর্তারা কিছু প্রাথমিক ইঙ্গিত লক্ষ্য করেছেন বলে ইসরায়েলের সম্প্রচার মাধ্যম কান জানিয়েছে। তবে, ইরান ঠিক কবে বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, এ বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভ-এর খবরে বলা হয়েছে, ইরান সরাসরি না গিয়ে ইরাক ও ইয়েমেনের শিয়া মিলিশিয়াদের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দিতে পারে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যেকোনও হামলার জবাবে কঠোর পাল্ট আঘাতের হুমকি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে, আরব সংবাদমাধ্যমে শনিবার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, একটি ইসরায়েলি নৌবাহিনী মিসাইলবাহী জাহাজ সুয়েজ খাল পার করে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। যা ইসরায়েলের অত্যাধুনিক লোরা মিসাইল উৎক্ষেপণ ক্ষমতা সম্পন্ন। যুক্তরাষ্ট্রও এ অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়িয়েছে। এদিকে, মার্কিন সামরিক বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) সিস্টেম পরিচালনা করছে। এছাড়া, মার্কিন বিমানবাহীর রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন আরব সাগরে অবস্থান করছে এবং পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরান ও তার মিত্রদের প্রতিরোধে আরও যুদ্ধবিমান, ট্যাংকার এবং বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করা হবে।