তরিকুল ইসলাম
রুপদিয়ায় দিন-দুপুরে দুর্র্ধষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ ৪৫ হাজার টাকা স্বর্নাংলকার সহ আনুমানিক তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। চোরেরা এসময় তছনছ করে রেখে যায় দুইটি ঘরের শোকেস, ওয়্যারড্রব ও সাববাক্সের মধ্যে রাখা কাপড়চোপড় ও জিনিসপত্র। ঘটনাটি (২২ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকাল সাডে ৯টা নাগাদ ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভুগী পরিবার। যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের জিরাট গ্রামের মৃত আনসার আলী গাজীর ছেলে কেরামত আলীর বাড়িতে দূধর্ষ এই চুরি সংঘঠিত হয়। এব্যাপারে কেরামত আলী জানান- এবাড়িতে আমরা স্বামী-স্ত্রী থাকি এক ছেলে প্রাবাসে আর মেয়ে শ্বশুরালয়ে থাকে। ঘটনার সময় আমরা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অজ্ঞাতরা নিরাপদে এই চুরি সংগঠিত করে মালামাল নিয়ে সটকে পড়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় এদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে দৈনন্দিন কাজের উদ্দেশ্যে মাঠে কাজে চলে যান। আর তার স্ত্রী বাড়ির পাশেই মুরগির খামার পরিষ্কারের জন্য বেরিয়ে যান। যাবার সময় বাইরের প্রধান গেটে ও ভেতরের দুইটি ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে রেখে যান। কেরামত আলী মাঠ থেকে বাডি ফিরে প্রধান গেটের তালা খুলে প্রবেশ করতে গেলে ভিতর থেকে গেটে সিটকিনি আটকানো পান। বিষয়টা আঁচ করতে পেরে। পাশে’ই খামার থেকে তার স্ত্রীকে ডেকে জিঙ্গাসা করেন ভেতরে লক করা কেন! স্ত্রী তাকে জানান ভেতর থেকে তো লক করার কথা না। তার স্ত্রী এসময় দ্রুত পাঁচিল টপকে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান দুইটি ঘরের তালা ভাঙ্গা ও দরজা খোলা। এসময় তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখতে পান ঘরের সকল জিনিষপত্র উল্টাপাল্টা করা ও ছড়ানো ছিঁটানো। ভালো করে তল্লাশী করে দেখতে পান নগদ ৪৫’হাজার টাকা ও অন্তত আড়াই থেকে তিন ভরি বিভিন্ন স্বর্ণ অলংকার খোয়া গেছে। দিনে-দুপুরে এমন চুরির ঘটনায় হতবাক তারা। এঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রাও। স্থানীয়রা জানান সম্প্রতি এলাকায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা চরম অবনতি দেখা দিয়েছে বলে অবিহিত করে স্থানীয়রা। এঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।