1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

জলবদ্ধতার কারণে ৩শ বিঘা জমি অনাবাদি

  • প্রকাশের সময় সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৭ বার সংবাদটি পাঠিত
জলবদ্ধতার কারণে ৩শ বিঘা জমি অনাবাদি

মেহেদী হাসান মিঠু,শৈলকূপা

দীর্ঘ দিন খাল খনন না হওয়ায় বৃষ্টি ও খালের পানি জমে শৈলকূপার ৪বিলের প্রায় ৩শ বিঘা জমি কৃষকের পতিত পড়ে আছে। যার কারণে প্রতিবছর কৃষকদের কয়েক কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের দিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ধলহরা চন্দ্র গ্রামের ঘাড়ভাঙার বিল, হাঁটুভাঙার বিল,ছোট ধলহরার বিল ও ধাওড়ার বিলের প্রাায় ৪শ বিঘা জমিতে পানি জমে বছরের ৮/ ৯ মাস পতিত পড়ে থাকে। জমি গুলোতে পানি জমে অনাবাদি থাকার কারণে এই ৪ বিলের জমির মালিকরা প্রতি বছর কয়কে কোটি টাকার ফসল আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালটি জিকে সেচ প্রকল্পের হলেও দেশ স্বাধীনের পর খনন না করায় মাটি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে গিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর দাবীর কারণে ১৯৯৪ সালের দিকে তৎকালীন ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল বারী মোল্ল্যা এই খালটি পুনরায় খনন করে। তখন খাালটি খনন করায় কয়েক বছর এসব বিলের জমির মালিক রা তাদের জমিতে ধান পাট,গম পেঁয়াজ রসুন সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করছিল।এর কয়েক বছর পর আবার খালটি মাটিতে ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়াও খালের জমিগুলো একশ্রেণির ভূমিদস্যরা খালটি ভরাট করে ফেলেছে। বর্তমানে এই ৪টি বিলে বছরের সাত-আট মাস পানি জমে থাকে। এসব জমিগুলোতে ফসল আবাদ করতে না পারার কারণে জমির মালিকরা অর্থনৈতিকভাবে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ব্যাপারে ধলহরাচন্দ্র গ্রামের শফি মিয়া জানান,এই ঘাড়ভাঙার বিলে আমার প্রায় ১৪বিঘা জমি পানি জমে পতিত পড়ে থাকে। কোন ফসল আবাদ করতে পারি না। একই অভিযোগ করলেন ছোট ধলহরা গ্রাামের কৃষক ইউসুফ আলী। তিনি দ্রুত খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য খনন করার দাবী জানান।ধাওড়া গ্রামের কৃষক রাজন শিকদার জানান আমাদের অনেক জমি পতিত পড়ে আছে। খালটি খনন করা জরুরী। পতিত পড়ে থাকা আরেক জমির মালিক সাবেক ইউপি সদস্য দলিল উদ্দিন জানান আমাদের বিলের সমস্যা সাংবাদিক হিসেবে পত্রিকায় তুলে ধরা হোক।যাতে কর্তৃপক্ষর নজরে আসে। আমি ইতোমধ্যে এই ৪ বিলের জমির পানি জমে থাকার কারণে খালটি খনন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি সহ কয়েকটি জায়গায় লিখিতভাবে আবেদন করেছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সুকর্ণ কুমার জানান,খালটি তালিকায় দেওয়া া আছে অর্থ বরাদ্দ পেলেই খনন করা হবে। এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান আমি নতুন এসেছি এটা কোন জায়গায় আমি জানিনা আপনার কাছ থেকে শুনলাম তবে এই খালটি খনন করার জন্য আমি অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION