মেহেদী হাসান মিঠু,শৈলকূপা
শৈলকুপায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। দফতরটি জরাজীর্ণ দশার কারণে সংশ্লিষ্টরা অফিস সময়ে ভয়ে ভয়ে কাজ করেন। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করছেন চাকুরেরা।এদিকে পুরানো ভবনের পাশেই ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুইতলা বিশিষ্ট নুতন ভবনটি পড়ে আছে। ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার পলাতক থাকায় নতুন ভবনের কাজ থেমে আছে। নতুন ভবনে পানির লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ, বাথরুমের ফিটিংস ও সিঁড়ির কাজ বাকি রয়েছে।সরজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়টি জীর্ণদাশায় পরিণত হয়েছে। সিলিং ফ্যানের হুকগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ভবনের অনেক স্থানে মেঝের ঢালাই খসে উঠে গেছে। বিদ্যুৎ লাইনও ঝুঁকিপ‚র্ণ। বৃষ্টি হলে টেবিলের ওপর পলিথিন বিছিয়ে রক্ষা করতে হয় প্রয়োজনীয় দলিল-দস্তাবেজ ও কাগজপত্র। গত মঙ্গলবার জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগেও যে এমন জরাজীর্ণ ভবন আছে সেটা ভেবে খুবই বিস্ময়কর লাগে। সাব- রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী আশিশ কুমার সাহা জানান, ৮০-র দশকে নির্মিত হয় শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। অফিসটির বয়স এখন ৪৫ বছর। ১২ বছর আগেই ভবনটি কাজের অনুপযুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ গণপ‚র্ত বিভাগের আওতায় ২০২৩ সালে পুরনো ভবনের পাশে দুইতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনের কাজ প্রায় শেষও হয়েছে। কিন্তু কিছু কাজ এখনো বাকি থাকায় নতুন ভবন হস্তান্তর করা যাচ্ছে না।সাব- রেজিস্ট্রার সোনালী খানম বলেন, একটি পৌরসভাসহ শৈলকুপার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ এখান থেকে সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমান গোটা ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তরা ভেঙে টেবিলের ওপর পড়ে। এতে সেবা গ্রহীতারা ভয়ের ভেতর থাকেন। এর আগে বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্যে বেঁচে গেছেন অনেকেই। তিনি বলেন, বর্ষার আগে ভবন বুঝে না পেলে জমি রেজিস্ট্রি কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শামীম হোসেন মোল্লা জানান, ভবনের কাজ হয়ে গেছে। একটি গভীর নলক‚পের পরীক্ষার রেজাল্টের জন্যে দেরি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।এ বিষয়ে ঝিনাইদহ গণপ‚র্ত বিভাগের প্রকৌশলী এসকে আরেফিন নুর জানান, ভবনের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে।