মুস্তাকিম আল রাব্বি সাকিব:বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী,মুকুটহীন সম্রাট অবিসংবাদিত জননেতা জনাব তরিকুল ইসলামের জীবদ্দশায় বিশ্বস্ত এক সহযোদ্ধার নাম আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু মুসা। তার বয়স এখন প্রায় ৮০ ছুই ছুই কিন্তু থেকে নাই তার রাজনৈতিক কাজকর্ম। যে বয়সে একজন নেতার থাকার কথা বিছানায় বা বাড়ির মধ্যে তখন তিনি অবিরাম ছূটে চলেন নেতা কর্মী দের কাছে।আজ যখন কনোনা পরিস্থিতে পুরো দেশ থমকে গেছে ঠিক সেই সময় দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইফতাখের সেলিম অগ্নির অর্থায়নে। আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু মুসার নির্দেশে সকল নেতা কর্মীর সহযোগীতায় ১০০০০ গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করেন যেটা তিনি নিজে প্রত্যেক এলাকায় গিয়ে গিয়ে নিজের হাতে মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন। তার শাসন আলমে যখন মনিরামপুর উপজেলা ছিলো সব থেকে নিন্মমানের সেই উপজেলাকে তিনি নিজ হাতে মডেল উপজেলা করে তুলেছেন। তিনি নিজ হাতে প্রায় ১০০ শতের বেশি স্কুল ,কলেজ,মাদ্রাসা তৈরি করে দিয়েছেন যাতে মনিরামপুরের মানুষ শিীত হয়ে মনিারামপুর কে একটি সুন্দর উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে পারে। তার হাত ধরে শতশত বেকার কর্মসংস্থানের সুয়োগ পেয়েছেন। যাতে কেউ বেকার থেকে খাদ্যের কষ্ট না পায়। আজ আলোচনা করবো তার সংপ্তি জিবনী। তিনি যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য,জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক,সাবেক সফল সভাপতি,
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তিন তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। সর্বপ্রথম ছাত্ররাজনীতি করার মাধ্যমে তার রাজনীতির সূচনা হয়।এরপর অতি অল্প বয়স নিজ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের রাজপুত্রে রুপান্তনিত হয়ে তিন তিন বার চালুয়াহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।বিএনপি প্রতিষ্ঠার বছর ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একাধারে ১২ বছর মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেনতার জনপ্রিয়তা তাকে থেমে থাকতে দেয়নি। আবারও ১২ বছরের জন্য নতুন দায়িত্ব।১৯৯০ সাল হতে ২০০২ সাল পর্যন্ত একটানা ১২ বছর উপজেলা বি এন পির নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয়,মরহুম জননেতা তরিকুল ইসলামের আশীর্বাদপুষ্ট এই পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ আশির দশকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মণিরামপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে সবার নজর কাড়েন।২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনের মাত্র এক মাস পরে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে প্রতিপরে সন্ত্রাস,দখল,অনিয়ম,ইলেকশন ইন্জিনিয়ারিংয়ের পরেও তিনি অত্র উপজেলা বিএনপি ইতিহাসে সর্বকালের সর্ব্বোচ্চ ৯১,৪৮৯ ভোট পেয়ে বর্তমান সরকারদলীয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের কাছে সামান্য ভোটে পরাজিত হন।অসংখ্যবার জেল-জুলুম-মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন।এমনকি বিগত আওয়ামী শাসনামলে জননিরাপত্তা আইনে মামলায় এক নাম্বার আসামি হয়ে ১০১ দিন জেল খেটেছেন।কিছুদিন আগেও কারাবরণ করেছিলেন।তার পরিবারও ভোগান্তির শিকার হয় বারবার।এক ছোট ভাই সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমানও বর্বরতার শিকার হন।এমনকি তাঁর আরেক ছোট ভাই মাস্টার রফিকুল ইসলাম রফিকও আওয়ামীলীগের বর্বরতার শিকার হয়ে এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ রাজনীতি করেন সাধারণ মানুষের জন্য,সমাজের জন্য,দেশের উন্নয়নেরর জন্য,তিনি রাজনীতি করে ব্যক্তিগত ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েননি,বরং পেঁয়েছেন নির্যাতন-হামলা-মামলা-লান্চনা-বন্চনা।এরপরও তিনি জনগণের সাথে আছেন,নেতাকর্মীদের পাশে আছেন,আরাম শয্যা বাদ দিয়ে কাটা বিছানো পথে হেটে চলেছেন মানুষের কল্যাণে।
এমন মানুৃষের সাথে রাজনীতি করা সত্যিই সৌভাগ্যের। কিছু পাই বা না পাই,সন্তানের মতো ভালবাসা তো পাই।রক্তে মিশে যাওয়া এই রাজনীতি নামক নিঃস্বার্থ নেশার জগতে এমন একজন মুরুব্বী থাকলে আর খুব বেশি কিছু লাগেনা মনে হয়।মহান আলাহ আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতাকে সবসময় সুস্থ রাখুন,নিরাপদ রাখুন,নেক হায়াত দান করুন।আমীন।