স্টাফ রিপোর্টার
যশোরে শাহিনুর রহমান শাহিন হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন পরে আদালতে মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা খানমসহ আওয়ামী লীগের ১০ নেতা-কর্মীকে। নিহতের বোন ফারজানা ইয়াসমিন শান্তা বাদি হয়ে মামলাটি করেন। শাহিন হত্যা মামলার অন্য আসামিরা হলেন রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও রামনগর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মাহমুদ হাসান লাইফ(৪৮), একই গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে আলাউদ্দিন মুকুল (৫২), মৃত আজগার বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬২), নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৯), মৃত মোস্তফা দফাদারের ছেলে মোহিত (৫০), নিজাম উদ্দিনের ছেলে পারভেজ (৪০), শাহাজানের ছেলে টুটুল (৪০), শাহাজানের ছেলে টিপু(৪৩) ও মনিরামপুর উপজেলার কাশিম নগর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে মামুন (২৭) মামলার অভিযোগে জানাযায়, শাহিনুর রহমান শাহিন হত্যাকান্ডের মুলপরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা মণিরামপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা খানম বিভিন্ন দিন ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এমন অবস্থায় মৃত্যুর ভয়ে বোনের বাড়ি মণিরামপুর উপজেলায় তাসলিমা খাতুনের বাড়িতে আশ্রিত ছিল। ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আসামিরা মামুনের সহযোগিতায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রে পিস্তল, লোহার রড, চাকু্,হক স্টিক নিয়ে একত্রিত হইয়া একটি কালো রঙ্গের মাইক্র বাসে উঠে । এসময় নাজমা খানম আলাদা একটি জীব গাড়িতে আসে সাথে থাকে রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ ও জেলা আওয়ামী লীগের পাঠাগার সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল। তারা শাহিনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে একটি কালো রংএর মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। এসময় স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে তাদের গুলিকরে হত্যার হুমকি দেয়। পরিচিত সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদস্য এসআই শরিফুল ইসলামে মাধ্যমে খবর পাই শাহিনের মৃতদেহ পাশের জেলা শালিখা থানাধীন শতখালি গ্রামের এ,আর জুটেিলর পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে আমরা থানায় গিয়ে মৃতদেহ নিয়ে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়। নিহত শাহিনুর রহমান শাহিনের বোন মামলার বাদি ফারজানা ইয়াসমিন শান্তা জানান, আসামিরা দীর্ঘদিন আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরপর তারা আমার ভাইকে মাথায় গুলি করে মেরে ঝোপের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। আমরা ঘটনার সময় মামলা করতে যশোরের মণিরামপুর থানায় গেলে আসামিরা দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা গ্রহণ করেনি। উল্টো তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি হয়রানি করেছে। বলেছেন, আমাদেরও শাহীনের মতো হত্যা করে ফেলবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আসামিরা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়য়ার জন্য। তাই যত দ্রুত সম্ভব আসামিদের আটক করে বিচারের দাবি করছি।