বাংলাদেশ || ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

 শরীফুল বাবু’র দুটি কবিতা

 শরীফুল বাবু’র দুটি কবিতা

কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

একটা ঝলসানো রুটি হয়ে, 

মেঘ মুক্ত আকাশে, 

চাঁদটা ঘুর পাক খাচ্ছিলো এদিক সেদিক।

আলো ছড়াচ্ছিলো মাঠ, ঘাট, প্রান্তরে! 

নদীর একূল থেকে ওই কূলে,

তীর থেকে তীরে, অজানা তেপান্তরে!

চাঁদের ঝলক মাখা রুপালী আলো গায়ে জড়িয়ে, 

অশান্ত ঢেউ গুলো হেলে দুলে ভেসে যাচ্ছে দিগবিদিক, 

নদীর স্রোতে, অজানা উদ্দেশ্যে, অচেনা গন্তব্যে! 

এ যেন নদীর স্রোত নয়, 

জীবন স্রোতে অথই দরিয়া পাড়ি দেয়া,

অচেনা গন্তব্যের সন্ধানে অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানো।

আমরা মানব জাতি, সর্বদা ছুটে চলি, 

জীবন নদীর এক প্রান্ত থেকে- 

অচেনা অজানা অন্য প্রান্তের আশায়।

দিন শেষে...

আসলেই কি আমরা খুঁজে পাই?

আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য,

আমাদের অতি প্রত্যাশিত প্রান্তর।

তবুও খুঁজে যাই দিনের পর দিন...

শহর থেকে শহরে, পথ থেকে প্রান্তরে...

মায়ার বাধনে বাধা এই দূর্বিষহ পৃথিবীতে...

কাজীর হাট

থরে থরে সাজানো আছে লাউ,

বিকেল বেলায় হাট বসেছে,

গাছের নামটি ঝাউ।

কাঁচামরিচ, ফুল কপি আর দৃষ্টিনন্দন আলু,

ফটিক বেটা দেখতে সরল,

বাস্তবে খুব চালু।

নানান রঙ্গের হরেক রকম মাছ,

বাজান আমার কাতলা রেখে,

ইলিশ কিনছে আজ।

জল-বাতাসার গন্ধে মিঠাই বাতাস,

টুং-টাং করে পিটছে লোহা,

কামার, বাবু সুবাস।

শাকের ডগায় জমছে মৃদু পানি,

ডাল পুরিতে মজদুর খুশি,

আমি চাই বিরিয়ানি। 

আমি ফটিক মিঠাই কিংবা পুরি,

বাজান বইছে বাজার থলে,

আমার মাথায় ঝুড়ি।

বট তলীতে ধাওয়াপাড়া ঘাট,

কোন কাজীতে গড়েছিলো, এই-

সুশ্রী কাজীর হাট।