সিনিয়র রিপোর্টার
যশোরের বেনাপোলে ইমপোর্টস এন্ড এক্সপোর্টস এ্যাসোসিয়েশন ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি ও মেসার্স এ এস এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধীকারী আলি হোসেন (৪৭) এর উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ওঠেছে। পরিকল্পিত এই সন্ত্রাসী হালায় মারপিট করে তাকে শারিরক ভাবে লাঞ্চিত করাসহ ৩টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইন,ব্যাসলেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানান।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট ) আনুমানিক ১২ টায় বেনাপোল বাজারস্থ বিজিবি ক্যাম্পের সন্মুখে প্রথম তিনি সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন। আধা ঘন্টা পরে বেনাপোল পৌরসভাধীন সাদীপুর বেলতলা এলাকায় পুনরায় তার গাড়ীর উপর হামলা চালানো হয়। তার ব্যবহৃত কালো রং এর ঢাকা (মেট্রো ঘ ১৮-২৩২৬) গাড়ীটিতে ভাংচুর চালালে তা সম্পূর্নরুপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই হামলায় তার ৮০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ধারানা করা হচ্ছে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুনরায় তার উপর হামলা চালানো হয়। বুধবার (৭ আগস্ট)সকালে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যাবসায়িক সমিতির সভাপতি আলী হোসেন।
ঘটনার বর্ননায় ভুক্তভোগী আলী হোসেন জানান, যশোরের পাঁচতারকা হোটেলের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার ব্যবসায়িক ( ভারতীয় নাগরিক) প্রতিনিধিরা ৫ জন মারাত্বক ভাবে জখম হয়ে ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জরুরী উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজনে তার দেশে ফিরতে সহযোগীতা চাইলে তিনি সকাল ১০.৩০ মিনিটের দিকে ১ টি এ্যম্বুলেন্স ও তার ব্যাক্তিগত প্রাইভেট কার যোগে বেনাপোল ইমিগ্রেশানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পতিমধ্যে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সামনে একদল লোক গাড়িটি থামানোর স্যিগনাল দিলে তিনি গাড়ি হতে নিচে নেমে তাদেরকে জানান, তার গাড়ীতে গুরুতর রোগী আছে। এসময় নারয়নপুর গ্রামের মৃত মহব্বতের পুত্র জহিরের নেতৃত্বে শরি মেম্বার, শামিম,আক্কাচসহ অজ্ঞাতনাম ৭/৮জন তার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে।তার গাড়ীতে থাকা ভারতীয় নাগরিক আবু সাহেদের গলার চেইন ও রবিউল ইসলামের হাতের বেসলেট এবং সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেই। স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্ততায় ভূক্তভোগীরা রক্ষাপেয়ে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে পৌঁছায়। তার গাড়ী সাদিপুর রোড হতে ফেরার পথে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পুনরায় তার গাড়ীর উপর হামলা চালিয়ে চালককে মারধরসহ ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় তিনি বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করতে গেলেও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের সাক্ষাৎ না পাওয়ায় বক্তব্য জানা যাইনী।