জাহিদ হাসানঃ
বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের হামিদুর রহমান হামিদের ২য় স্ত্রী তাওহিদা আক্তার স্মৃতিকে দীর্ঘদিন ধরে ফোনে উত্ত্যক্ত করায় তিনি বেনাপোল পোর্ট থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি দায়ের করেন। যার জিডির নাম্বার ৭০০ তারিখ ১৮/০৬/২৪ইং।
বেনাপোল পোর্টথানার জিডি সূত্র থেকে জানা যায়, বেনাপোল সাদিপুর গ্রামের বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী আলী আহম্মেদ নেদার ১ম পক্ষের ছেলে কথিত সাংবাদিক মুরাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার হামিদের ২য় স্ত্রী স্মৃতিকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। জিডিতে স্মৃতি উল্লেখ করেন মুরাদ আমাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করলে আমার স্বামী হামিদকে জানায় তখন আমার স্বামী মুরাদকে বারন করলেও সে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা থাময় না। এরপরও আমি মুরাদের ফোনকল রিসিভ না করায় সে আমার বাড়িতে গিয়ে আমার গেটে ধাক্কা সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধামকি দিতে থাকে। মুরাদ আমার স্বামীর বন্ধু ছিলো তার উত্ত্যক্তের মাত্রা দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় আমি ও আমার স্বামী গত ১৭ই জুন মুরাদের বাড়িতে বিষয়টি জানানোর উদ্দেশ্য রওনা হয়। পথিমধ্যে সাদিপুর গ্রামে জুয়েল মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌছালে আমাদেরকে পথ রুখে আমাকে শ্লীলতাহানি করা সহ আমার স্বামীর উপর সে হাত তুলে। বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামীর সাথেও তার মনমালিন্য তৈরী হয় বিধায় কোন পথ না পেয়ে আমি প্রশাসনের আশ্রয় নেই।
মুরাদের বিষয়ে তার গ্রামে খোঁজ নিলে একাধিক ব্যাক্তিরা জানায়, মুরাদ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক পরিচয়ে একাধিক পরিবার ও মহিলাদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায়না। এর আগেও বেনাপোল পোর্টথানায় এবং আদালতে তার নামে একাধিক শ্লীলতাহানির অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে স্মৃতির স্বামী হামিদ জানায়, মুরাদ আমার ২য় স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত তো করেছেই সাথে সাথে তালাক করানোর জন্য আমার ১ম স্ত্রী সেতুর নিকট থেকে সে ২লক্ষ টাকা নিয়েছে। এছাড়াও সে আমার প্রথম স্ত্রীকেও সে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দেয়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মুরাদ বলেন, আমি কিছুই করিনি আমাকে ফাঁসানোর জন্য হামিদ ও তার স্ত্রীদের দিয়ে থানায় এই বিষয়ে জিডি ও অভিযোগ করে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার ফন্দি করছে।
জিডির বিষয়ে বেনাপোল পোর্টথানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ এস আই আবুল বাশার জানান, উত্ত্যক্ত করার কারণে সাদিপুর গ্রামের মুরাদের নামে থানায় একটি জিডি হয়েছে। জিডি আমার কাছে আছে আমি দুই পক্ষকে ডেকেছি তদন্ত শেষে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।