মোঃ ইব্রাহিম খলিল
সাতক্ষীরায় টাকা চুরির অভিযোগ করায় সন্ত্রাসী হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়ায় এক বাড়ি থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় বাদীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ভুক্তভোগী সহ তার পরিবারের লোকদের কে সন্ত্রাসী কায়দায় ফিল্মি স্টাইলে বেধড়ক মারপিট করা হয়।
গত ২১ জুন শুক্রবার দুপুর ২ টার সময় দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের মৃধাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম জানান, ১৩ জুন বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১টার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা গরু কেনার জন্য ঘরের শোকেজের ড্রয়ারে রেখে দেয়। গত ২০ জুন সকাল ১০ টার সময় তরিকুল ও তার স্ত্রী ঘেরে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী রাহুল সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে টাকা নিয়ে বাহির হওয়ার সময় আমার বাড়ির বিভিন্ন মালামাল সরবরাহকারী ভ্যানচালক রিয়াজুল ইসলাম দেখতে পাই। তার আগমন সন্দেহজনক হওয়ায় আমরা বাসায় আসার পরে বিষয়টা রিয়াজুল ইসলাম আমাদের জানায়। তাৎক্ষণিক বাসায় এসে দেখি ঘরের ড্রয়ার ভাঙ্গা। ঘরে ঢুকে টাকা নিতে গিয়ে দেখি আমার একটি টাকাও সেখানে অবশিষ্ট নেই। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি বাদী হয়ে সন্দেহাতীতভাবে রাহুলের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। দেবহাটা থানায় অভিযোগ দেওয়ায় উত্তর পারুলিয়ার হান্নান সরদারের ছেলে মাদকাসক্ত, প্রতারক রাহুল এর নেতৃত্বে তার মা লাভলী পারভীন সহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তরিকুল ইসলাম এর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। প্রথমে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য জোরজবরদস্তি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে রাহুল ও তার মা লাভলী পারভীন সহ আরো ৬-৭ জন। এ সময় আমার স্ত্রী ও ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে এসে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে রাহুল ও তার পিতা হান্নান সরদার মা লাভলী পারভীন চাচা আবজাল, হানজাল, রাজু হামলার উদ্দেশ্যে তেড়ে এসে আমাদের কে বেধড়ক মারপিট করে।এ সময় তরিকুল সহ আহত হন তার স্ত্রী মোছাঃ রেশমা খাতুন ও ছেলে রাসেল হোসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাহুল টাকা চুরি যদি নাই করবে, তাহলে থানার অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তরিকুল ইসলাম ভাইয়ের পরিবারকে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে জোরজবরদস্তি ও মারপিট করতে আসবে কেন বলে প্রশ্ন রাখেন। তারা আরও বলেন, আমরা চিল্লাপাল্লা করার আওয়াজ শোনা মাত্রই তাৎক্ষণিক ওখানে গিয়ে তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রেশমা খাতুন সহ তাদের ছেলে রাসেল হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে দেখতে পাই। এ বিষয় অভিযুক্ত রাহুলের কাছে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।