1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

বলুহর মৎস্য হ্যাচারি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
  • ৪৫ বার সংবাদটি পাঠিত
রেজওয়ানুল ইসলাম বাপ্পি, ঝিনাইদহ 
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারির ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে সে শশুড় বাড়ি ঝিনাইদহ শহরে ও তার নিজ এলাকায় সাতক্ষীরায় গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। এছাড়া দীর্ঘদিন হ্যাচারীর দায়িত্ব থাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের বলয় তৈরি করে গড়ে তুলেছেন ভাউচার বিহীন রেনুপোনা বিক্রির সিন্ডিকেট। বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা যায় ম্যানেজার আশরাফের প্রধান দুর্নীতি হলো,রেনু উৎপাদনের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার পরে সে অতিরিক্ত পোনা উৎপাদন করে সরকারি রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে এসব পোনা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে। ম্যানেজার আশরাফের ভয়ে অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী মুখ খুলতে সাহস পায় না।
গত বছর আশরাফের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হ্যাচারীর এক কর্মচারীকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
জানা গেছে বলুহর মৎস্য প্রজেক্ট বাংলাদেশের বৃহৎ মৎস্য প্রকল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রকল্প।
এটি ঝিনাইদহ জেলার কোঁটচাদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়নে অবস্থিত। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও এতে রয়েছে। এ প্রকল্পে সরকারিভাবে দেশি বিদেশি বিভিন্ন মাছ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এক কথায় সরকারের একটি সম্ভাবনাময় খাত।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রকল্প হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে। এটি ১৯৭৯ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই মৎস্য হ্যাচারি প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। টানা ৬ বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি উদ্বোধন করা হয় এবং পুরদমে মাছ চাষ শুরু হয়। প্রথমদিকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রজাতির মাছের পোনা চাষ শুরু হলেও এখন (অর্ধ-শতাধিক) মাছের পোনা চাষ শুরু হয়। কিন্তু থেমে নেই বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারীর ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের দূর্নীতি।
একাধিক মৎস্য হ্যাচারীর মালিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন তিনি সরকারী দামে বিক্রি করেন না মাছের পোনা।
যে দামে ভাউচার লিখেন তার থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে থাকেন। মাছের পোনার খাদ্যের অভাবে অনেক পোনা মারা যায় তার কোন পদক্ষেপ নেন না ম্যানেজার।
এদিকে কোটচাঁদপুর ওয়েস্ট জোন ডিস্টিবেশন কোঃ লিঃ এর টাকা,পুরাতন গাড়ি মেরামতের টাকাসহ বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাতের ও অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে মৎস্য খামারের মালিক ও মৎস্য চাষীদের সাথে কথা বললে তারা বলে আমরা রেনুর দাম জানতে চাইলে কখনই দাম বলেনা,মৃগের রেনু পোনা আনলে হয়ে যায় তেলাপিয়া বা অন্য মাছের। মৎস্য চাষীরা আরো অভিযোগ করেন,খাদ্যের অভাবে দুর্বল রেণুপোনা হওয়ায় কারণে সে গুলো পুকুরে ছাড়লে মারা যায়। ম্যানেজার আশরাফের অনিয়মের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন,ম্যানেজার অনেক মাছ গোপনে বিক্রি করে প্রচুর টাকা বছরে কামায় করে। সেই টাকা দিয়ে উপর মহল ম্যানেজ করে বদলি আদেশ আসার পরেও সে এখানেই রয়ে গেছে। আবার রেনু পোনা খাদ্যর অভাবে এতটাই দূর্বল থাকে যে পুকুরে ছাড়ার পর মারা যায়। এবিষয়ে কোটচাঁদপুর বলুহর মৎস্য হ্যাচারির ম্যানেজার আশরাফ-উল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখানে যা আয় উপার্জন হয় তাদিয়ে সবদিকে সামলানো লাগে। অতিরিক্ত পোনা বিক্রি করলে সবারই কমবেশি চলাচলের সুযোগ হয়। হ্যাচারী ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামের দুর্নীতির বিষয়ে যশোর মৎস্য প্রকল্প পরিচালক আলফাজ উদ্দিন বলেন,আমি অভিযোগ গুলো শুনেছি তবে এখনও ক্ষতিয়ে দেখিনি। আর কারই বা দায়িত্ব দেব। যে আসে সেই তো চুরি করে। তবে অভিযোগ প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যাবস্থা নেবো

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION