যশোর প্রতিনিধি:যশোরের বাঘারপাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকা প্রতীকের কর্মী খলিলুর রহমান টিটো (২৮) নিহতের ঘটনায় ১৭ জনের নামে মামলার পর একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক বাবু বেতালপাড়া গ্রামের শাহা আলমের ছেলে।বৃহস্পতিবার তাকে পুলিশ আটক করে। মামলায় দিলু পাটোয়ারী ও তার ভাই জহুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, হালদা গ্রামের উজির আলীর ছেলে শরিফুল, বেতালপাড়া গ্রামের সুরমান মোল্যার ছেলে মনিরুল কানা, একই গ্রামের এজের আলীর ছেলে সাইদ, মৃত মুনছুর বিশ্বাসের ছেলে আসাদ, হলিহট্ট গ্রামের নাজমুল হুদার ছেলে মাসুদ হোসেন, বেতালপাড়া গ্রামের শামসুল বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম, জয়নালের ছেলে শাহিনুর রহমান, হলিহট্ট গ্রামের মোক্তার মোল্লার ছেলে আজিম, আবু তাহেরেরে ছেলে জসিম, নলডাঙ্গা গ্রামের বাকি বিল্লার ছেলে আতা উল্লাহ সোহান, গরীবপুরের মৃত জলিলের ছেলে রেজাউল মুন্সি, যশোর সদর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আমিনুর রহমান, ও পুরাতন কসবা এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সম্রাজ।বৃহস্পতিবার বদর উদ্দীন বাদী হয়ে এ মামলা করেছন। মামলায় আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন,বুধবার সন্ধা সাতটারদিকে তারা নৌকার প্রচার চালাচ্ছিলেন। এসময় টিটো তাদের সাথে ছিলেন। এসময় সরদারপাড়ার কামালের দোকানের সামনে পৌছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আসামিরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় দিলু পাটোয়ারী ও আব্দুর রউফ মোল্লার হুকুমে দিলুর ভাই নুর মোহাম্মাদ পাটোয়ারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে টিটোর আঘাত করে। পরে শরিফুলও টিটুকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে। অন্যআসামিরাও সেসময় মারপিট করে।কায়েম সরদারের বাড়ির সামনে টিটো লুটিয়ে পরে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোরে ও পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় টিটোর মৃত্যু হয়।