সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিজিবি’র ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল ভারতে
ভারতে ৩ দিনের সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিজিবির উপ-মহাপরিচালক যশোর রিজিয়ন কমান্ডার এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গেছেন। বুধবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন। বিজিবির ৭ সদস্যের নেতৃত্বে রয়েছেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাকির হোসেন, রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ ফেরদৌস হাসান টিটু, রংপুর রিজিয়নের নোডাল অফিসার লে. কর্নেল মাহাবুবুর রহমান খান, যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা, দক্ষিণ এশিয়া-১ প্রতিনিধি পূর্বাঞ্চল বিষয়ক বাংলাদেশ মন্ত্রণালয় সহকারী সচিব রহমত আলী এবং স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন সুরক্ষা বিভাগের উপ-সচিব শামিম হাসান। বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আরশাফ হোসেন জানান, কলকাতায় ৩দিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে রিজিয়ন কমান্ডার এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গেছেন। আগামী শুক্রবার প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরবেন। সীমান্ত দিয়ে মাদক, অস্ত্র-বিস্ফোরক ও নারী-শিশু পাচারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। #
বেনাপোলে সীমান্তে গাঁজা সহ একমাদক ব্যাবসায়ী আটক
যশোরের বেনাপোলে সীমান্তে থেকে ৬কেজি গাঁজা সহ বাবলু মোড়র(৪৫) নামে এক মাদকব্যাবসায়ী কে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গবার(৮ডিসেম্বর)সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে মাদক সহ তাকে আটক করা হয়। আটকৃত আসামি দৌলতপুর গ্রামের গ্রামের মৃত,আতিয়ার মোড়লের ছেলে। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এস আই শফি আহম্মেদ রিয়েল ও এএসআই মাসুম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬কেজি গাঁজা সহ আসামি কে হাতে নাতে আটক করে।আটকৃত আসামি কে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা নং ১০তাং৮/১২/২০ দিয়ে যশোর কোর্টএ প্রেরণ করা হয়েছে।
নাভারন ক্লিনিকে সিজারের পর প্রসূতির পেট থেকে গজ-ব্যান্ডেজ উদ্ধার!
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে নাভারণ ক্লিনিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপারের পর গৃহবধূ রুমা খাতুনের (৩৩) পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই প্রসূতি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রুমা খাতুন ঝিকরগাছা উপজেলার দেউলি গ্রামের আব্দুল ওহাবের স্ত্রী। রুমা খাতুন এ ঘটনার জন্য অস্ত্রোচারকারী চিকিৎসকডা: মারুফকে দায়ী করছেন। স্বজনরা জানিয়েছেন, গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে রুমাকে নাভারণ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় তার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন ডা. মারুফ। অস্ত্রোপচারের দুই দিন পর গত(৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রোগীর পেটে ব্যথা শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে ক্ষত স্থান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। রুমা খাতুন জানান, এক দিকে তার শরীরে রক্ত দেয়া হচ্ছিলো। অপরদিকে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছিলো। বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। চিকিৎসকের এক সহকারী সিজারের স্থানের সেলাই কেটেছে বলে কোনো সমস্যা নেই। ক্ষত স্থানে টেপ মেরে দেয়া হয়। কিন্তু পেটে ব্যথা ও রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাতেই তাকে অস্ত্রোচার কক্ষে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা তার পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধার করেন। রুমা খাতুন আরো জানান, চিকিৎসকরা তাকে বলেছেন সুস্থ হতে সময় লাগবে। ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের কারণে এমনটা হয়েছে। রুমার মা জানিয়েছেন, চিকিৎসক ডা: মারুফের ভুল অস্ত্রোচারের কারণে তার মেয়ের জীবন সংকটাপন্ন হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রথম অস্ত্রোপচারের সময় একটু সমস্যা ছিলো। প্রসূতির পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ বের করার পর থেকে সুস্থ আছেন। নাভারন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক ইমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য না করে বলেন আমি একটা নম্বর দিচ্ছি, আপনি তার সাথে কথা বলেন। এরপর ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে আর কথা বলেননি। কারো নম্বরও দেননি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় ডা. মারুফের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধারের বিষয়টি সঠিক নয়। অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। ডায়াফার্মী স্লিপের কারণে এমনটা হয়েছিলো। যে কারণে ফের ওপেন করে দেখা হয়। পরে ড্রেসিংয়ের পর ভিতরে গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে ওপরে টেপ মেরে দেয়া হয়েছিলো। পরে রোগীর ভালোর জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ উঠেছে, ডা. মারুফের গাইনী বিভাগের ডিগ্রি নেই। তিনি কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না। বিগত দিনে ডা. মারুফ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার (এমও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ না হয়েও মারুফ শার্শা, বেনাপোল ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সিজারিয়ানসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করে থাকেন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, নাভারণ ক্লিনিকে রোগীর অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধারের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো। সিভিল সার্জন আরো জানান, ডা. মারুফের গাইনী চিকিৎসকের কোনো ডিগ্রি নেই। তবে তিনি বিভিন্ন হাসপাতাল ক্লিনিকে রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করে বলে তথ্য আছে
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করায় তীব্র নিন্দা ও জানিয়ে মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শার্শা সদর ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সঙ্গগঠন। ৭১ এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবলু ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা বিরধী ঘাতক পাকিস্তানী দালাল উগ্র জঙ্গিবাদ মৌলবাদ গোষ্ঠী রাতের আঁধারে কুষ্টিয়ায় ৫ রাস্তার মোড়ে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবলম্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে
শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত পালাতক ১২ আসামী গ্রেফতার
যশোরের শার্শায় মাদকসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পালাতক ১২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(০৮ ডিসেম্বর)দিনভর পৃথক অভিযানে শার্শা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। আটকৃতরা হলেন, শার্শার যাপদপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আক্তারুজ্জামান তুহিন(৩২), ইউছুপ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৫৪), রমজান গোল্দারের ছেলে রাজু(৪২), নিজামপুর গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেল শিপন হোসেন (৩২), আমলাই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ইউনুচ আলী (৫৪), পাকশিয়া গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে মোংলা(৩৬), ফজলুল হকের ছেলে ইকবাল আহম্মেদ(৩৭), বাগুড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে রেজা আল-নোমান (৩৭), আজিজুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২০), কাজিরবেড় গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে শাহিন হোসেন (৩০), উলাশী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মফিজুর রহমান (৩৬) ও মহিশা গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে মাসুম বিল্লাহ। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, গোঁপন খবর আসে মাদকসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা গোঁপনে এলাকায় ফিরে অবস্থান করছে।অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।আটকৃত আসামীদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
যশোরে শার্শায় ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে ১৪৯ মোটরসাইকেল আটক মামলা ১০৪
যশোরের শার্শায় ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ যানবাহন আটক ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ যানবাহনের উপর দৈনন্দিন আটক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এ অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা যায়। শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ও নাভারণ-সাতক্ষীরা মোড়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে আজ বুধবারও অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে এ অভিযান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতে থাকবে বলে যশোর ট্রাফিক পুলিশের অফিস সূত্রে জানা যায়। যশোর ট্রাফিক পুলিশের টি আই নুরুজ্জামান, টি এস আই সারোয়ার ও সার্জেন্ট মিল্টনের নেতৃত্বে এবং শার্শা থানা পুলিশের সহযোগীতায় সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ১৪৯টি কাগজ-পত্রবিহীন ও অবৈধ মোটরসাইকেল আটক এবং চালকের হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০৪টি মামলা হয়েছে বলে যশোর ট্রাফিক পুলিশের অফিস জানিয়েছেন। যশোর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান জানান, শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ যানবাহন অবাধে চলাচল করছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান আগামী আরও একদিন চলবে বলে তিনি জানান।