1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

সাতক্ষীরা সংবাদ(০৭/১২/২০) সোমবার

  • প্রকাশের সময় সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৬ বার সংবাদটি পাঠিত

 

সাতক্ষীরা ৫০ বছরেও বধ্যভূমি সংরণের কোন উদ্যোগ নেই

আজ ৭ ডিসেম্বর সাতীরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাতীরার দামাল ছেলেরা থ্রি নট থ্রি আর এসএলআরের ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে সাতীরা শহরে প্রবেশ করে। ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। সন্তান হারানোর বেদনা ভুলে সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সাথে রাস্তায় নেমে আসে মুক্তিপাগল আপামর জনতা।বিজয়ের ৪৯ বছর পরেও সাতীরার বধ্যভূমি ও গণহত্যার স্থানগুলো সংরণে দৃশ্যমান কোন উদ্যেঅগ নেই। বিশেষ বিশেষ দিবসে বারবার আশার বাণী শোনানো হলেও আজ পর্যন্ত সাতীরা জেলা শহরের প্রধান বধ্যভূমি ও গণহত্যার স্থান সাতীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিটি চিহ্নিত করারই কোন প্রচেষ্টা নেই।দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী রক্তয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেদিনের সাহসী সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। পাক হানাদার ও তাদের দোসররা মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছিল। ধ্বংস করতে চেয়েছিল বাঙ্গালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। শত্রুর বুলেটের এত সব আঘাত সহ্য করেও সাতীরার সন্তানরা অন্ততঃ ৫০টি যুদ্ধের মোকাবেলা করেছিল ।১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতীরা শহরে পাকিস্তান বিরোধী মিছিলে রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। আর এখান থেকে শুরু হয় সাতীরার দামাল ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া। মুক্তিযুদ্ধের খরচাদি বহনের জন্য সাতীরা ট্রেজারী হতে অস্ত্র লুট আর ন্যাশনাল ব্যাংক হতে অলংকার টাকা পয়সা লুটের মধ্য দিয়ে শুরু মুক্তির সংগ্রাম। ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং শেষে ২৭ মে সাতীরার ভোমরা সীমান্তে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয় । এ সময় পাক সেনাদের ২ শতাধিক সৈন্য নিহতহয়। ১৭ ঘন্টাব্যাপী এ যুদ্ধে শহীদ হয় মাত্র ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা। আহত হয় আরো ২ জন মুক্তিযোদ্ধা। এরপর থেমে থেমে চলতে থাকে সাতীরার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্ত হামলা। এসব যুদ্ধের মধ্যে ভোমরার যুদ্ধ, টাউন শ্রীপুর যুদ্ধ, বৈকারী যুদ্ধ, খানজিয়া যুদ্ধ,বালিয়াডাঙ্গা উল্লেখযোগ্য । এ সব যুদ্ধে শহীদ হয় ৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। লাইটের আলোয় অসুবিধা হওয়ায় ৩০ নভেম্বর টাইম বোমা দিয়ে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীত সন্ত্রন্ত করে ফেলে পাক সেনাদের।রাতের আঁধারে বেড়ে যায় গুপ্ত হামলা। পিছু হটতে শুরু করে পাক সেনারা। ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে পাক বাহিনী সাতীরা থেকে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর জয়ের উন্মাদনায় জ্বলে ওঠে সাতীরার দামাল ছেলেরা।যারা শহীদ হন-মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শত্র“দের গুলিতে সাতীরার যে সকল বীর সন্তান শহীদ হন তারা হলেন শহীদ আব্দুর রাজ্জাক, কাজল, খোকন, আব্দুর রহমান, আমিনউদ্দিন গাজী, আবুল কালাম আজাদ, সুশীল কুমার, লোকমান হোসেন, আব্দুল ওহাব, দাউদ আলী, সামছুদ্দোহা খান, মুনসুর আলী, রুহুল,নাজমুল, হাফিজউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, আবু বকর, ইমদাদুল হক, জাকারিয়া, শাহাদাত হোসেন, আমীন, জবেদ আলী, শেখ হারুনার রশিদ প্রমুখ।

 

সাতক্ষীরা শহরে র‌্যাব-এর মাক্স বিতরণ

 র‌্যাব-৬ সিপিসি-১ সাতক্ষীরার উদ্যোগে সাতক্ষীরা শহরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ল্েয মাক্স বিতরণ করেন। কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এ এস পি বজলুর রশিদের নেতৃত্বে এই মাক্স বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিনিয়র ডিএডি ফরহাদ হাসান, ডিএডি নজরুল ইসলাম, এসআই আলমাছসহ অন্যান্য র‌্যাবের সকল সদস্য।সাতীরা শহরের লাবণী মোড়, খুলনা মোড়, আমতলা মোড় ও নারিকেলতলা মোড়ে পথচারী, ভ্যান ও ইজিবাইক চালক, মোটর সাইকেল চালক, যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের মুখে প্রায় ১ হাজার মাক্স পরিয়ে দেয়া হয়। কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এ এস পি বজলুর রশিদ জানান,সচেতনমুলক ভাবে সবাই মাক্স ব্যাবহার করা ও পরবর্তীতে যদি মাক্স পরিধান না করে তাহলে আইনের মাধ্যেমে জরিমা সহ শাস্তি দেওয়া হবে । এ ছাড়া তাদের এই মাক্স বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

 

আলোচনা সভা র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে সাতক্ষীরা৭ই ডিসেম্বার মুক্ত দিবস পালিত

জাতীয পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও র‌্যালি সহ বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে ৭ই ডিসেম্বার সাতক্ষীরা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে ।আজ সোমবার দিবসটি উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্তি যোদ্ধা চত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসুচি শুরু করা হয় ।আলোচনা সভায় , জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধাণ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিম সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ মোশারফ হোসেন মশুসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।আলোচনা সভা শেষে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধাণ প্রধাণ সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

 

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অমর্যাদা করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণ মিছিল

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অমর্যাদা করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্বের সকল ইসলামী দেশে তাদের বাদশা বা অন্য কোন নান্দনিক ভাস্কর্য রয়েছে। ৭১-এর পরাজিত শত্রু পাকিস্তানদের দোসর ও ৭৫-এর খুনীরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে এই ধরনের পৈশাচিক ধ্বংসাত্মক অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসে আমাদের অঙ্গিকার, সাতক্ষীরায় এধরনের কোন অপশক্তিকে আমরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অমর্যাদাকারীদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করতে হবে। জামায়াত বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কোন ইস্যু না পেয়ে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে এবং ভাংচুর করে দেশকে অশান্ত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মকে সাধারণ মানুষের কাছে কুলষিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান বক্তারা।’ সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক জি.এম ওয়াহিদ পারভেজ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. ফরিদা আক্তার বানু, সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎনা আরা, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহরুল ইসলাম নান্টু প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা পরিষদের সদস্য মাহফুজা রুবি, এড. আজহারুল ইসলাম, এড. অনিত মুখার্জী, ডা. মুনসুর আহমেদ, এড. জিয়ারুর রহমান বাচ্চু, শিমুল শামস্, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, আব্দুল্লাহ সরদার, মঞ্জুর হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এজাজ আহমেদ স্বপন, কাজী মারুফ, শেখ আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজাসহ জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পাহাড়সম দূর্নীতির সন্ধারে পর্ব -১
শ্যামনগরে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আব্দুল মোতালেবেরবিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ!

সাতক্ষীরার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্যামনগর জোনাল অফিসের দায়িত্বরত পাওয়ার ইউজ কো-অডিনেটর আব্দুল মোতালেবের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ওয়ারিং পরিদর্শক অফিসার পদ শুন্য হওয়ায় আব্দুল মোতালেব অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে দু-টি দায়িত্ব পালনের সুবাদে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নতুন মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে এবং মিটারের লোড বৃদ্ধির জন্য গ্রাহকদের মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। আর যে সকল গ্রাহকরা ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে তাদের দিনের পর দিন মাসের পর মাস হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধক সরকার। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানোর লক্ষে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের জন্য নিরলস ভাবে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক অসৎ কর্তাদের ঘুষ বানিজ্যের কারণে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। অভিযোগ আছে, উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের শংকরকাটি গ্রামের নুরমোহাম্মদ বাবু ,আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেকী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, ঈশ্বরীপুর গ্রামের রবি, রমজাননগর ইউনিয়নের পাতড়াখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মোড়ল, কৈখালির মনির, ভূরুলিয়া ইউনিয়নের দরগাপুর গ্রামের ইসমাইল ও পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা থেকে আসা শ্যামনগর সদর ইসমাইল পুর গ্রামের ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীরদের সম্মিলিত ভাবে একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট দল আছে। এসব সিন্ডিকেটধারী দালালরা বিদ্যুৎ অফিসের পাওয়ার ইউজ কো-অডিনেটর আব্দুল মোতালেবের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে দ্রুত ওয়ারিং রিপোট সহ নতুন মিটার সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পরবর্তীতে ঐ সমস্ত টাকা সিন্ডিকেট ধারী দালাল ও শ্যামনগর জোনাল অফিসের আব্দুল মোতালেবের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ইলেকট্রিশিয়ান জানান,শ্যামনগর সদরে বাদঘাটা গ্রামের মোশারাফের নতুন রাইচ মিলের মিটারের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু মিটার সংযোগ দিতে বিভিন্ন তালবাহানা করার এক পর্যায় বিদ্যুৎ অফিসের পরিদর্শক আব্দুল মোতালেবকে ২ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। সিরাজপুর গ্রামের মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে রাইচ মিলের নতুন মিটার ও সংযোগ দেওয়ার কথা বলে দালাল ইসমাইলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিদর্শক আব্দুল মোতালেব ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাদঘাটা গ্রামের আনছার আলী জানান,একই গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন বিদ্যুৎ অফিসে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে আমার বাড়ির উপর দিয়ে অবৈধ পন্থায় লাইন টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় আমি প্রতিবাদ করায় বিদ্যুৎ অফিসের পরিদর্শক আব্দুল মোতালেব আমার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার হুমকী দেয়। তা ছাড়া বিভিন্ন গ্রাহকের সাথে সে খারাপ আচারন করে বলেও অভিযোগ আছে।
ভূরুলিয়া ইউনিয়নেরন মাজাট অনান্তপুর গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দালাল ইসমাইলকে দ্রুত মিটার পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৫ শত টাকা ঘুষ নিয়েও আমার মিটার দেইনি বা আমার টাকা ফেরত দেইনি। বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। আভিযোগ আছে, আব্দুল মোতালেব নিজের ক্ষমতায়নে অনলাইনে আবেদন ছাড়াই ঘুষ নিয়ে নিয়মবর্র্হিভূত ভাবে মিটার ছাড় করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে উল্লেখিত দালালদের পদচারনায় মুখর। তারা রীতিমতন পরির্দশক আব্দুল মোতালেবকে ঘিরে অফিসে থাকেন।
শ্যামনগর জোনাল অফিসের দায়িত্বরত পাওয়ার ইউজ কো-অডিনেটর ও ওয়ারিং পরিদর্শক আব্দুল মোতালেবের কাছে মুঠো ফোনে অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাহিলে তিনি অস্বীকার করেন।
এঘটনায় শ্যামনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মধুসুদন রায়ের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে অফিসে দালাল পদচারনা ও গ্রাহকদের নিকট থেকে ঘুষ বানিজ্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার জানা নেই।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION