কণ্ঠঃ রথম দিন: পাইথনের প্রাথমিক বিষয়
প্রোগ্রামিংয়ের দুনিয়ায় সবকিছুই পরিবর্তন হতে পারে। যেমন ফেসবুকে এখন লগ–ইন করে যা দেখবেন, একটু পর লগ–ইন করলে ভিন্ন জিনিস দেখা যাবে। এই যে একই জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন মান থাকতে পারে, সেটাকে ভাবতে পারেন ‘ভ্যারিয়েবল’ হিসেবে। বিষয়টা অনেকটা বিদ্যা+আলয় = বিদ্যালয় বা হিম+আলয়=হিমালয় এর মতো। ভ্যারি+এবল = ভ্যারিয়েবল। অর্থাৎ ভ্যারি করতে পারে বা পরিবর্তন হতে পারে, এমন জিনিসগুলোই ভ্যারিয়েবল। তাই পাইথন শেখার প্রথম দিন শিখবেন ভ্যারিয়েবল, আউটপুট, ইনপুট আর কন্ডিশনাল (রভ-বষংব)।
দ্বিতীয় দিন: প্রোগ্রামিংয়ের পঞ্চরতœ
প্রোগ্রামিংয়ের প্রথম দুই রতœ হচ্ছে ভ্যারিয়েবল আর কন্ডিশনাল। তারপর আসে বিস্কুটের প্যাকেট। মানে একটা বিস্কুটের প্যাকেটের মধ্যে যেভাবে ২০-৩০টা বিস্কুট থাকে, সেই একইভাবে একটা ভ্যারিয়েবলের মধ্যে কীভাবে লিস্ট বা অ্যারে দিয়ে একাধিক মান রাখা যায়, সেটা শিখতে পারেন দ্বিতীয় দিনে। এ ছাড়া শিখবেন লুপ চালানো (ভড়ৎ লুপ আর যিরষব লুপ) এবং ফাংশন।
তৃতীয় দিন: সমস্যার সমাধান
প্রোগ্রামিংয়ের সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, প্রোগ্রামিং দিয়ে টুকিটাকি জিনিসগুলো করে ফেলা। যেমন, তাপমাত্রাকে সেলসিয়াস থেকে ফারেনহাইটে রূপান্তর করা। কোনো একটা অঙ্কের মধ্যে সব সংখ্যার যোগফল বের করা। কোনো একটা সংখ্যা মূলদ সংখ্যা কি না তা যাচাই করা। একটা লিস্টের মধ্যে একই সংখ্যা একাধিকবার থাকলে, সেগুলোকে লিস্ট থেকে বের করে দেওয়া।
চতুর্থ দিন: ক্যালকুলেটর
প্রোগ্রামিং দিয়ে ছোট একটা ক্যালকুলেটর বানিয়ে ফেলা যায়। কিংবা একটা ঃরপ-ঃধপ-ঃড়ব গেম বানিয়ে ফেলা যায়। হয়তো এই একটা জিনিস বানাতে এক দিন বা দুই দিন লেগে যাবে। কিন্তু সেটা করে ফেলার যে আনন্দ, সেটা পরীায় ১০০–তে ১০০ পাওয়ার চাইতে বেশি।
পঞ্চম দিন: ডেটা স্ট্রাকচার
একটা প্রোগ্রামিং মানে সেখানে অনেক ডেটা। যেমন ফেসবুকের কথাই ধরুন। সেখানে আপনার স্ট্যাটাসগুলা এক ধরনের ডেটা। স্ট্যাটাসে কে কে কমেন্ট করেছে, সেটাও একটা ডেটা। এই রকম আরও কিছু ডেটা রাখার সিস্টেম আছে। সেগুলোকে বলে ‘ডেটা স্ট্রাকচার’। তাই পঞ্চম দিনে আপনার কাজ হবে কয়েকটা প্রাথমিক ডেটা স্ট্রাকচার, যেমন ঝঃধপশ, ছঁবঁব, উরপঃরড়হধৎু সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ফেলা।
ষষ্ঠ দিন: অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং
দুনিয়াতে যা কিছুই দেখি সেটাই একটা জিনিস বা বস্তু। এমনকি আপনি নিজেও একটা জিনিস। এই জিনিসগুলোরএকাধিক বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন আপনার উচ্চতা, নাম, শখ, পছন্দের অভিনয়শিল্পী…এমন অনেক বৈশিষ্ট্য আছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে একসঙ্গে প্রকাশ করে ঙনলবপঃ হিসেবে। তাই ষষ্ঠ দিনে আপনার কাজ হলো ঙনলবপঃ, ঈষধংং কীভাবে লেখে, কাসের মধ্যে গবঃযড়ফ ধহফ পড়হংঃৎঁপঃড়ৎ কীভাবে লেখে সেগুলো শিখে নেওয়া। তারপর ঙঙচ নামক একটা বিষয় আছে। সেটাও একটু দেখে নিতে পারেন। কী আর আছে জীবনে!
সপ্তম দিন: অ্যালগরিদম
ফোনের চার্জার হারিয়ে গেলে আপনি কী করেন? খাটের কোনায়, ব্যাকপ্যাকে, টেবিলের নিচে খুঁজতে থাকেন। প্রোগ্রামিংয়ের েেত্রও সার্চ করার কিছু সিস্টেম বা অ্যালগরিদম আছে। আবার সাজানোর জন্য কিছু সিস্টেম বা অ্যালগরিদম আছে। সেগুলো দেখার কাজ করা যেতে পারে সপ্তম দিনে। যেমন খরহবধৎ ংবধৎপয, ইরহধৎু ংবধৎপয, ইঁননষব ংড়ৎঃ, ঝবষবপঃরড়হ ঝড়ৎঃ সেগুলো একটু দেখে রাখতে পারেন।
অষ্টম দিনে: ডেটাবেজ
আপনি ইউটিউবে ছয় মাস আগে যে ভিডিও দেখেছেন, এখনো সেই ভিডিও দেখতে পারেন। কারণ, প্রোগ্রামিংয়ের েেত্র গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলোকে বেশি সময় ধরে সংরণ করে রাখা হয় ডেটাবেজে। তাই অষ্টম দিনে আপনার কাজ হচ্ছে ডেটাবেজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেওয়া। টেবিল, কলাম, রো সম্পর্কে জানা। কীভাবে টেবিলে নতুন ডেটা যোগ করতে হয় বা আপডেট করতে হয় সেই জিনিসগুলো জানবেন এই দিনে।
নবম দিন: মেশিন লার্নিং
যদিও মেশিন লার্নিং অনেক বড় একটা বিষয়। তারপরও কিছু আইডিয়া নিয়ে রাখা ভালো। কয়েকটা ভিডিও দেখতে পারেন। মেশিন লার্নিং কী জিনিস, এটা দিয়ে কী করা যায় বা ভবিষ্যতে কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে—আপাতত একটু ধারণা নিয়ে রাখলেন। ভবিষ্যতে বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য হোক, কিংবা পুরোদস্তুর প্রোগ্রামিং শেখাই হোক, সব েেত্রই কাজে লাগবে।
দশম দিন: সারকথা
গত নয় দিনে যা যা শিখেছেন, সংেেপ তা লিখে ফেলুন। চাইলে ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন। যদি মনে হয় আর সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চান, তাহলে পোস্টটি ‘অনলি মি’ করে রাখুন। নিজের মতো করে সবটা লিখতে গিয়ে পুরো ব্যাপারটার একটা ‘রিভিশন’ হয়ে যাবে।
কোথা থেকে শিখবঃইউটিউবে ‘পাইথন প্রোগ্রামিং টিউটোরিয়াল’ লিখে সার্চ করলেই অসংখ্য টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। গুগল প্লে স্টোর বা আইফোনের অ্যাপ স্টোরে প্রোগ্রামিং শেখার বিভিন্ন অ্যাপ আছে। যেমন প্রোগ্রামিং হিরো (চৎড়মৎধসরহম ঐবৎড়) নামের অ্যাপটিও ইনস্টল করতে পারেন। ইন্টারনেট ছাড়াও, অফলাইনে বসে পাইথন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রাথমিক বিষয়গুলো শিখে ফেলতে পারেন। মোবাইলেও চর্চা করার সুযোগ আছে।