কলারোয়া পৌরসভার রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ ঠিকাদার নাদিয়া নুরুল নিশাদের বিরুদ্ধে
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার ১৮৩৭ ফুট লম্বা,১৫ ফুট চওড়া ও ১ফুট রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল ও প্রকৌশলী ওজিহুর রহমান।
২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উক্ত কাজ বন্ধ করে দেন। ভালো খোয়া না আনা পর্যন্ত কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, পৌরসভার বিশেষ বরাদ্দকৃত ৬৩ লাখ ৬ হাজার ৩৫৪ টাকা ১৮৩৭ ফুট লম্বা,১৫ ফুট চওড়া ও ১ফুট উচ্চতা সড়ক ও জনপদের আওতায় কলারোয়া সাত্তার হার্ডওয়ারের দোকান হতে হাসপাতাল অভিমুখে কার্পেটিং রাস্তা সংস্কার গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় । কাজের ঠিকাদার কলারোয়ার আলিফ ইন্টারপ্রাইজের মালিক নাদিয়া নূরুল নিশাদের বিরুদ্ধে রাস্তাটি সংস্কারে ভালো ইট দেওয়ার কথা থাকলেও নিম্মামানের ইট, খোয়া, দিয়ে দায় সারা ভাবে কাজটি করা হচ্ছিল। এলাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর মেয়র ও প্রকৌশলী কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এবিষয়ে কলারোয়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ৬৩ লক্ষ টাকা কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যে খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে, তা খুবই নিম্নমানের। যে কারণে কাজটি বন্ধ করে হয়েছে । যতক্ষণ খোয়া ভালো না আসবে ততক্ষন কাজটি বন্ধ থাকবে।
প্রকৌশলী ওজিয়ার রহমান বলেন, সেখানে খুবই নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছিল। আমরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি, ভালো খোয়া না আসা পর্যন্ত কাজটি বন্ধ থাকবে।
এলাকাবাসীর দাবি জনবহুল এই রাস্তাটির কাজ সঠিকভাবে এবং ভালো মানের খোয়া দ্বারা নির্মাণ করা হোক।
ঠিকাদার আছাদুজ্জামান বলেন, সেখানে কোন নিম্নমানের খোয়া দেওয়া হয়নি। পৌর মেয়র কি কারণে কাজটি বন্ধ করেদিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমরা তদন্ত করে দেখতে পারেন।
কলারোয়া প্রেসক্লাবে বিপিএড শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন
কলারোয়া কুশোডাঙ্গা এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চা(বিপিএড) শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার ( ২৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে কলারোয়া প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কা্র্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিপিএড শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে , উপেজলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের শাহাজদ্দীনের মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যাা সুুুমি খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে সেটি সম্পূর্ন মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী করেন । তিনি আরও বলেন, কুশোডাঙ্গা মাদ্রাসার সহ: সুপার মো: আবুল হোসেনর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটির অভিভাবক সদস্য ইছাহকের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে স্বীকার করেছে বলে প্রতিয়মান হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখিত যে, অনৈতিক কর্মকান্ডের বিচার দাবী করলেও পরে বাদি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় তদন্ত কমিটির কতিপয় সদস্যরা এলাকার নিজস্ব লোকদের উদ্ধৃত দিয়ে মৌখিকভাবে শুনে আমি অনৈতিক কাজে জড়িত বলে উল্ল্যেখ করেন। যেটি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি নির্দোশ এই মর্মে বাদীদ্বয়ের স্টেটমেন্ট দেয়া সত্বেও পরবর্তীতে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসক মহোদয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়কে দায়িত্ব দিলেও কোন তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় পরবর্তীতে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ তদন্ত পূর্বক ঘটনার কোন সত্যতা না পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাকে নির্দোশ প্রমানিত করে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রদানকৃত সকল অভিযোগ প্রতাহার করে যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হয়েছে। যার সকল ডকুমেন্ট আমার কাছে সংরক্ষিত আছে বলে বিপিএড শিক্ষক জানান। সম্প্রতি(২৪ নভেম্বর) আমার বিরুদ্ধে ‘ অন লাইন নিউজ পোর্টাল ‘কলারোয়া নিউজে’ সাংবাদিককে ভুল তথ্য পরিবেশন করে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ ফারুক হোসেনের সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি হওয়ায় বিদায় সংবর্ধনা
কলারোয়া সমাজসেবা অফিসার জনাব শেখ ফারুক হোসেনের এর সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বদলী উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা। ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাজসেবা অফিস কার্যলয়ে। উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কার্যলয়ের উপ-পরিচালক মোঃ রোকনুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসের এফ এস শেখ সাবের হোসেন,আব্দুস সামাদ, ফজলুল হক,জেলা কর্মচারি এসোসিয়েশনের সভাপতি সরদার মিজানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক শেখ হিমায়েত,হুমায়ন কাদীর,শেখ মিজানুর রহমান,শিরিনা খাতুন,গফুর শেখ,সেলিম জাফরসহ প্রমূখ। কলারোয়া থেকে আগামী ডিসেম্বর মাসের ২ তাং চলে যাবেন মুজিব নগর বলে জানান শেখ ফারুক হোসেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন সরকারের অরপিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারেন । মানুষের সেবার মধ্যামে বাকী জীবন।