কেশবপুরে সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীতে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না দর্শনার্থীরা
কেশবপুরে সাগরদাঁড়ি মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের জন্মভূমি মধু পল্লীতে গড়ে উঠা প্রতœস্তল,জাদুঘর সহ কবির বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত দেখতে আসা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার দর্শনার্থীরা মানছে না সামাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইতিমধ্যে মুখে মাস্ক না থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার জন্য সারাদেশের ন্যায়ে কেশবপুরেও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করে ছিলেন কেশবপুর উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান ও বর্তমান উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ইরুফা সুলতানা। মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চলমান রয়েছে। উপজেলার সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীতে ২১ নভেম্বর শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতœস্তল ও জাদুঘর ইতিপূর্বে বন্ধ ছিল।কিন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মধু পল্লীর কৃর্তপক্ষ কিছু শর্তসাপেক্ষে সেটি খুলে দেওয়া হয়। প্রবেশ পথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরা বাধ্যতা মূলক করা হলেও মাস্ক পরিধান সচেতনা মুলক নির্দেশনার লিফলেট টাঙানো থাকলেও ভিতরের প্রবেশের পর তা না মেনে ঘুরাফেরা করছে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা র্দশনার্থীরা। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ধাপ এসেছে বলা হলেও করোনাকালীন সতর্কতা অবলম্বন করছে না প্রতœস্থল মধু পল্লীতে আসা দর্শনার্থীরা। এ ব্যাপরে সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীর কাষ্টোডিয়ান মোঃ যায়েদ বলেন,প্রবেশ গেটে মাস্ক ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ উল্লেখ থাকলেও দর্শনার্থীরা মাস্ক পরে ভিতরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে আমারদের অজানতে কিছু দর্শনার্থীরা মাস্ক খুলে ছবি তোলা কাজে ব্যস্ত থাকে। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করাসহ মধুপল্লীতে প্রবেশ দর্শনার্থীরা যদি মাস্ক খুলে ছবি তুলে বা সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে ঘুরাফেরা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গণসংযোগে ব্যাপক এগিয়ে জাহানার খানম
আসন্ন কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭,৮ ও ৯টি ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সংরক্ষিত ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীরা মধ্যে গণসংযোগ,উঠান বৈকাঠ মতবিনিময় সভায় ব্যাপক এগিয়ে আছেন জাহানার খানম।
তিনি তার কর্মী সমার্থনদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজ এলাকায়সহ ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে যেয়ে দোয়া সমার্থন চেয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে সম্ভাব্য সংরক্ষিত ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীরা মধ্যে গণসংযোগে দেখা মিলছে না হিরা খাতুন ও ফতেমা খাতুনের বলে ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারা জানান। এখনো পর্যন্ত তফশীল ঘোষণা না হলেও প্রার্থীদের পদচারনায় পৌর এলাকার ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ দেখা দিয়েছে। সাধারণ ভোটারদের বাড়ি থেকে শুরু করে বাজার,চায়ের দোকান,পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা যেয়ে তাদের লিফলেট বিতরণ শুরু করাসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে।এদিকে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য সংরক্ষিত মহিলা ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চন্দ্র সাহার নিকট দলীয় ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন।কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন? তা নিয়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন ও আলোচনা-সমলোচনা। প্রতি বারের মত এবারো প্রার্থীদের কাছে ভোটারদের কদর বেড়েছে। (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড) সম্ভব্য সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দলীয় সমর্থন পেতে গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর মনিরা খানম,জাহানার খানম,তহমিনা খাতুন, আসমা খলিল, হিরা খাতুন ও ফতেমা খাতুন। এই ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে গণসংযোগ,উঠান বৈকাঠ মতবিনিময় সভায় ব্যাপক এগিয়ে আছেন জাহানার খানম।পৌর ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা গণসংযোগ পুরাদমে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রার্থীদের ব্যানার,ফেস্টুন ও পোষ্টারে পোস্টরে ভরে গেছে পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড। শুধু তাই নয় নিজের আখের গোছাতে নয়, জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী জাহানার খানম। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চন্দ্র সাহা বলেন,আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সংরক্ষিত ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী দলীয় ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন।