বেনাপোল প্রতিনিধি ঃযশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ৮৯১শ্রমিকের সাবেক সভাপতি মোস্তফার ওপর বর্তমান সভাপতি কলি ও সেক্রেটারি জানের নেতৃত্বে শ্রমিকদের দিয়ে তার নিজ বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে।
শনিবার(২১শে নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার সময় বড় আঁচড়া মালেকের দোকানের সামনে শ্রমিদের ব্যবহারের হুক, হাতুড়ি,দা, লাটি নিয়ে জোর জবস্থ করে হামলা করা হয়।সেখানে গ্রামবাসী প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে তার পিছিয়ে চলে আসে।যার ফলে বড় ধরনের কোন সমস্যা হতে পারে নাই।
এ ঘটনায় মোস্তফা জানায়,বর্তমানে শ্রমিকদের বন্দরের পাথরের বিল সংক্রান্ত বিভিন্ন খাদে টাকা না দেয়ায় ১মাস আগে শ্রম অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ আবেদন করেন।প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার একটি অভিযোগ পত্র উল্লেখ করেন।এই অভিযোগ আবেদন করায় বন্দরের ৮৯১শ্রমিকের সভাপতি ও সেক্রেটারির নির্দেশে শ্রমিকদের সব গ্রুপ সর্দার সোয়ারাব,আনারুল,সজিব,সাগর,মান্নান,সাজেদুর ছাড়াও আরো অনেকে বিভিন্ন মার মুখি যন্ত্র নিয়ে হামলা করে থাকে।
স্থানীরা জানায়,শ্রমিকরা বন্দরের কাজ করে থাকে বন্দরের সাথে জড়িত। তারা কি ভাবে দলবদ্ধ হয়ে গ্রামের মধ্যে এসে সন্ত্রাসী কর্যক্রম করে থাকে।কেও অন্যায় করলে তার জন্য দেশের আইন আছে এ ভাবে প্রকাশ্যে জনগনের সামনে এ ধরনের কার্যক্রম খুবই জঘন্ন ঘৃণার কাজ আমরা এ ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।এসময় গ্রামের হাজার জনতা মহিলা পুরুষ ছোট বড় সকলে তাদের সাথে বাক বিতন্ড ও হাতাহাতি হতে দেখা যায়।উৎসুখ জনতাদের হাত থেকে তাকে সিনিয়ে নিতে পারলে তাকে ধরে পিটিয়ে মারতো বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শ্রমিক সভাপতি কলি মোল্লা জানন,শ্রমিক সংগঠনের নামে ৫কোটি টাকা আত্নসাত অভিযোগ এনে মামলা করে। প্রকৃত পক্ষে ঠিকাদর বন্দরে টাকা দেয়নি ঠিকাদার আমাদের কেও টাকা দেয়নি।এমন কোটি অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রমিকরা তার কাছে হিসাব চাইতে গিয়েছিল। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার বিষয়টি অস্বিকার করেন এ শ্রমিক নেতা।
এদিকে পুলিশ কাছে হামলার বিষটি জানতে চাইলে পুলিশ বলেন টহল দল পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটোনাস্থলে সংবাদকর্মীরা পুলিশের কাওকে দেখতে পায় নাই।
উল্লেখ্য, এর আগে শ্রমিকদের নেতৃত্বে ছিলো মোস্তফা, দলীয় গ্রুপের কারনে মোস্তকে শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে বেধড়ক মারপিট করে, শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষল করে নেয় বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি।সে অবস্থায় পুলিশের উপস্থিতে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়ে ছিলো।