স্টাফ রিপোর্টারঃ ডা. শামারুখ মাহজাবিন ‘হত্যার’ পুনঃতদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দাবিতে যশোরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে নিহতের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে নুরুল ইসলাম বলেন, তার জামাতা হুমায়ন সুলতান সাদাবের সাথে ঢাকায় তার মেয়ে বসবাস করতেন। সেখানেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার মেয়ের গলার বাম পাশে এক আঙ্গুলের চাপের দাগ, ডান পাশে দু’ আঙ্গুলের চাপের দাগ ছিল। বাথরুমের ভেন্টিলেটরের উচ্চতা পাঁচ ফুট আর তার মেয়ের উচ্চতা পাঁচ ফুট আড়াই ইঞ্চি। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে কীভাবে ফাঁসে ঝুঁলে আত্মহত্যা করল শামারু? এছাড়া লাশের জিব্বার কোনো অংশই বাইরে ছিলনা। চোখের অবস্থাও স্বাভাবিক ছিল। পুলিশ না ডেকে কেনো তারা নিজেরাই তার মেয়ের লাশ নামাল তার উত্তর এখনো অজানা।প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনি ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। ক্ষমতাসীনদের অপশক্তির প্রভাবে ময়নাতদন্তে অপরাধীরা নিরপরাধ প্রমাণিত হয়। যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। পরে তিনি রিপোর্ট প্রত্যাখান করলে পুনরায় ময়নাতদন্ত ও মামলাটি তদন্তের ভার সিআইডির হাতে অর্পণ করেন আদালত। কিন্তু সিআইডিও একইভাবে প্রভাবিত হয়ে একই ফলাফল প্রকাশ করে। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এবং ক্রিমিনাল মিসসেলেনিয়াস মামলা করেন। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে মামলা সেখানেই স্থবির হয়ে আছে বলে দাবি করেন তিনি। এমতাবস্থায় তিনি আবার সুষ্ট তদন্তের দাবি জানান।এদিকে, শামারুখের হত্যার পুনঃতদন্ত ও বিচার দাবিতে রোববার মানববন্ধন করার কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার রাজেক আহম্মেদ, বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, আবু সুফিয়ান, দিপংকার দাস রতন এবং শহিদুল হক বাদল।