কেশবপুর সংবাদদাতাঃ যশোর কেশবপুরের কন্দর্পপুর গ্রামের ভাংড়ি ব্যবসায়ী সাঈদ সরদার হত্যা মামলার দুই আসামিকে আটক করেছে পিবিআই। এরা হলো পাঁজিয়া গ্রামের হাফিজুর সরাদের ছেলে জুয়েল সরদার ও হাড়িয়া ঘোপ গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান লিটন। আটক দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া টাকা ও ভ্যান। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবনবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আটক জুয়েল ও কামরুজ্জামান জানিয়েছে, সাঈদ সরদার ভাংড়ির ব্যবসা করত। তার কাছে সব সময় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা থাকে। বিষয়টি আটক দুইজন জানত। আসামি কামরুজ্জামানের কাছে জুয়েল ১০ হাজার টাকা পেত। আবার জুয়েল টাকার অভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা। এ অবস্থায় তার সাঈদের কাছ থেকে টাকা ছিনতায়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় তারা ফোন করে সাঈদকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তার পুরাতন ওজন পরিমাপের স্কেল কেনার কথা বলে সাতাসকাঠি থেকে নুড়িতলা বাজারের দিকে রওয়না হয়। পথিমধ্যে আবু সাঈদ ভ্যানে তাদের রেখে প্রসাব করতে রাস্তার পাশে বসে। এ সময় আসামিরা নেমে হাতুড়ি দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে সাঈদকে হত্যার পর তার কাছে থাকা টাকা ও ভ্যান নিয়ে তার চলে আসে বলে জানিয়েছে তারা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর সাঈদ সরদার বাড়ি থেকে যেয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন নুড়িতলা বাজারের যাওয়ায়র কাঁচা রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতে স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় যশোরের পিবিআই। মামলার তদন্তকালে শুক্রবার হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল ও কামরুজ্জামানকে আটক করা হয়। এ সময় কারুজ্জামানের বাসা থেকে ছিনতাই করে নেয়া ২৮ হাজার টাকা ও জুয়েলের বাড়ি থেকে নিহত সঈদের ব্যবহৃত ভ্যান উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার আটক দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।