ফয়সাল হাসান :দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিস করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে অন্তহীন অভিযোগ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমীনে গিয়ে দেখা যায়,করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি আদেশ ”নো মাস্ক নো সেবা কে“ উপেক্ষা করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রতিনিয়ত মাস্ক বিহীন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়াও খোদ নির্বাচন অফিসের কর্মরতদের কেউ মাস্ক বিহীন দেখা গেছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি এভাবে মাস্ক বিহীন সেবা দেয় তাহলে সর্ব সাধারণ কিভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবে? দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুর কুল্লা গ্রামের হতদরিদ্র দম্পতি মান্দার আলি ও সালমা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্মাট কার্ড পাওয়ার জন্য প্রায় ১মাস যাবত দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসে চর্কি ঘোরার মতো হয়রানি হয়ে ঘুরছি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও আমরা আবারো এই অফিসে স্মাট কার্ড নেওয়ার জন্য আসলে অফিসের একজন আমাদের কে বলেন আপনারা সোমবারে আসেন। আমরা গতকাল সোমবারে আবার কার্ড নিতে আসলে ঐ ব্যক্তি আমাদের কে জানান নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার নষ্ট্।
এই বলে নিচে থেকে একটি টেলিফোন নাম্বার দিয়ে বলে ফোন করে খোঁজ নিয়ে আসবেন। মান্দার আলি আরো জানান,আমি একজন দিন মজুর পরপর তিন দিন কাজ কামাই করে আসায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আরো কতদিন এভাবে কাজ কামাই করে আসতে হবে কি জানি? এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইসহাক জানান, মাস্ক তো বাধ্যতামুলক কিন্তু সাধারণ মানুষ তা মানতে চাচ্ছে না। আর বাস্তবেই আমাদের অফিসের কম্পিউটার নষ্ট হয়েছে। সার্ভারের সমস্যার জন্য কম্পিউটার টা ঢাকায় পাঠতে হবে। সাধারণ মানুষ নিজেদের দোষে নিজেরা দিনের পর দিন ঘুরতে থাকে আর বলে হয়রানি হয়েছি। নতুন ভোটাররা আবেদন করার জন্য ফর্ম নিতে গিয়ে ফর্ম না পেয়ে ফিরে আসে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা প্রতিদিন হয় না শুধু সোমবারে হঠাৎ ফর্ম শেষ হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।