আলিমুজ্জামান ডালিম: যশোরের বাগডাঙ্গায় মন্দিরে পূজা করা নিয়ে মারপিটের ঘটনায় রিপন বিশ্বাস (২৮) বাদি হয়ে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়,যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাস বাদি হয়ে একই গ্রামের চম্পক সরকারের ছেলে (১)সঞ্জয় সরকার,অরুন পদ দাসের ছেলে (২) মৃনাল, মৃত জিতেন্দ্রনাথের ছেলে (৩) নিখিল বিশ্বাস, লক্ষীকান্ত বিশ্বাসের ছেলে (৪) গৌতম বিশ্বাস, জ্ঞানেন্দ্রনাথ গোস্বামীর ছেলে (৫) স্বপন গোস্বামীকে আসামি করে গত ২৯অক্টোবর যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নংঃ
সি আর-১৪৭১/২০,তারিখঃ ২৯/১০/২০।
বাদি মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামি পক্ষরা পূর্বশত্রুতা অনুযায়ী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা মধ্যপাড়া পূজা মন্দিরে পূজা করতে বাদিপক্ষকে নিষেধ করে। তারই জের ধরে গত ২৮ অক্টোবর সকাল অানুমানিক ৬ টার সময় বাদিপক্ষের বসত বাড়িতে এসে আসামি পক্ষরা হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, হাতুড়ীসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদির বাড়িতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাদির নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
তখন ২ নং স্বাক্ষী লিপিকা রাণী আসামিদের কথার প্রতিবাদ করলে ৫ নং আসামি স্বপন গোস্বামীর হুমুকে ২নং মৃনাল ও ৩ নং নিখিল বিশ্বাস লিপিকা রানীকে মারপিট করে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন ১ নং আসামি সঞ্জয় সরকার তার পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীতহানি ঘটায়। বাদি লিপিকা রানীকে আসামিদের হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে ৩ নং নিখিল ও ৪ নং আসামি গৌতম বিশ্বাস বাদি রিপন বিশ্বাসকে গলায় গামছা প্যাচ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই দিক দিয়ে টেনে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। তখন ১ নং স্বাক্ষী সুভাষ বিশ্বাস বাদীকে রক্ষা করতে আসলে আসামিরা তাকে ও মারপিট করে জখম করে।
সে সময় বাদিসহ ১ ও ২ নং স্বাক্ষীদের ডাকচিৎকারে অন্যান্য লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা বাদি রিপন বিশ্বাসকে খুন-জখমের হুমকিসহ মন্দিরে পূজা করা নিয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর রিপন বিশ্বাস ও সুভাষ বিশ্বাস যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এ ঘটনায় বাদিসহ তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীসহ তার পরিবার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ
করেছেন।