আসাদুর রহমান: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ কাজীরবেড় টু গোড়পাড়া সড়কের গাতিপাড়া খেয়া ঘাট মোড়ের ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গেচুরে অবহেলাই পড়ে আছে।
দিনে দিনে অল্প অল্প করে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজ একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে । ব্রীজ নয় যেন এটি কোন মরণ ফাঁদ। ব্রীজটির অবস্থা এতেটাই খারাপ যে ৮ কিলোমিটার গ্রামীন এই সড়কে যাবতীয় যানবাহন চলাচল এবং জণসাধারণের জন্য যাতায়াত মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ব্রীজটির উপরের ঢালাই ধ্বসে গিয়ে ভেতরের রডগুলো বের হয়ে আছে এবং চলাচলের জন্য সাইডে মাত্র অল্প কিছু জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে। যার ফলে একটি রিক্সাও চলাচল করতে পারছে না। চরম সমস্যা হচ্ছে জণসাধারনের চলাচলেও। এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্রীজটি এই ভাবেই পড়ে আছে মেরামতের কোনো খোঁজ নাই, এই ব্রীজটা এতোটাই ভেঙে গিয়েছে যে গবাদি পশু থেকে শুরু করে শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছিনা ফলে যে কোনো সময়ই ঘটে যেতে পারে মারাত্বক দূর্ঘটণা। শিশুদেরকে নিয়ে আমাদের সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙ্গাচোরা ব্রীজের মেরামত বা সংস্করণ না করে স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তারা নিরাপদে চলাচলের জন্য নির্দেশনামুলক নেম ফলক লাগিয়ে দিয়েছে। দীর্ঘদিন সেটার দিকেও নজর না দেওয়ায় সতর্ককীকরণ নেম ফলকটিও আজ হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। বর্তমানে নেমফলকটিও রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
গাতিপাড়া খেয়াঘাট মোড় এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাচোরা ব্রীজটির জন্য ভারী কোন যানবাহন তো দুরের কথা ইমারর্জেন্সি কোন রোগীেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার না হলে চিকিৎসার অভাবে বাড়িতে মরে থাকতে হবে।
এলজিইডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসী দাবী, সংস্কার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ব্রীজটি অতি দ্রুত মেরামোতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হক। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন এবং স্থানীয় জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে কতৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন এমনটাই মনে করেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।