কালিগঞ্জ(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর শাহী জামে মসজিদে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ এশা মসজিদ প্রাঙ্গনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে মিলাদ, ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মসজিদ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন গুনাকরকাটী খায়রীয়া আজিজীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আলহাজ্ব মাওঃ আরিফ উল্লাহ, মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ। আয়োজিত মাহফিলে বক্তারা বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমনে সমগ্র জাহান আইয়্যামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার থেকে ইসলামের সুমহান আদর্শে আলোকিত হয়ে ওঠেছিল। বিশ্বনবী ছিলেন সারা জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ। ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনায় কোরআন এবং হাদীস শরীফে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। বক্তারা মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে বলেন, অসংখ্য হাদীসের আলোকে প্রমাণিত, নবীজি স্বয়ং নিজের মিলাদ তথা জন্ম দিন পালন করেছেন, সাহাবায়ে কেরামও এ পূণ্যময় আমল উদযাপন করেছেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে এক দিরহাম অর্থ ব্যয় করল সে আমার সাথে জান্নাতে বন্ধু হয়ে থাকবে। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এরশাদ করেছেন, যে মিলাদুন্নবীকে সম্মান জানালো সে ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করল। হযরত ওসমান জিন্নুরাইন (রাঃ) এরশাদ করেছেন, যে মিলাদুন্নাবী উদযাপনে এক দিরহাম অর্থ ব্যয় করলো, সে যেন বদর ও হুনায়েন যুদ্ধে শরীক হল। হযরত আলী (রাঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবীকে বিশেষ মর্যাদা দিল, সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান সহকারে দুনিয়া ত্যাগ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আলোচনা শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।