বেনাপোল সংবাদদাতাঃ যশোরের বেনাপোলে শিশু সংগঠন ” শিশু বন্ধু ক্লাব” এর আয়োজনে পৌর বিয়ে বাড়ি রত্নাগর্ভ মা কে সম্মানা দেয়া হয়।আমার মা আমার কাছে যেমন বড় তেমনি অন্য সকল সন্তানের কাছে তাদের মাও তাদের কাছে বড়। মায়ের দোয়া সন্তানের কাছে অর্থবিত্ত সম্পদের চেয়েও বড়। তাই বেনাপোলের সকল এর মা-ই আমার মা সারাদেশের সকলের মা-ই আমার মা। মায়ের দোয়া পাওয়ার মত বড় সৌভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। সন্তানের জন্য তার মা-ই সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে বড় নিয়ামত। বেনাপোল পৌরসভার নন্দিত মেয়র আশরাফুল আলম লিটন তার মা জাহানারা বেগম এর রত্নগর্ভা সন্মাননা প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন।
শনিবার(১৭অক্টোবর)সকাল১১টার সময় বেনাপোল এর শিশু সংগঠন ” শিশু বন্ধু ক্লাব” এর আয়োজনে পৌর বিয়ে বাড়ি মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেনাপোল সর্বজন শ্রদ্ধেয় নাগরীক পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শার্শা উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, বীর মুক্তি যোদ্ধা কবি আলতাফ চৌধুরী, প্রবীন শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও আবু তালহা, জাহাঙ্গীর আলম, রফিকুল ইসলাম; যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম এর সহ- সভাপতি এমদাদুল হক বকুল, কার্য নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন আলম,শিশু বন্ধু ক্লাব এর সভাপতি আব্দুলাহ আল মামুন প্রমুখ। অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য মোজাফফার হোসেন, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফেরাম এর বেনাপোল শাখার সভাপতি রহমত আলী প্রমুখ।
মেয়র আশরাফুল আরম লিটন বলেন, আমাদের জীবন খুবই কম সময়ের জন্য। আমরা কেউ হাজার বছর বেঁচে থাকব না।পৃথিবীর এই জীবন ছেড়ে আমাদের চলে যেতেই হবে। তাই আমাদের এমন সব কর্ম করা উচিৎ যে কর্মের জন্য মৃত্যুর পর আমরা স্মরনীয় হয়ে থাকতে পারি। আর সেই লক্ষ থেকেই আমি শিশু কাল থেকেই বেড়ে উঠেছি।বেনাপোল এর মত একটি অজ পাড়াগার এবড়ো থেবড়ো রাস্তা জরাজীর্ন অবকাঠামো আমাকে ব্যাথিত করত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরন এর জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমি এই জনপদের সৌন্দর্য্য সৃষ্টির প্রয়াশ চালিয়েছি। দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই জনপদ এখন শহরে পরিনত হয়েছে। আসলে অন্তরের সৌন্দর্য এর বহির্ঃপ্রকাশ ঘটে বাইরে। এখন আমদের কাজ অবকঠামো গত সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মন মননের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। মনে যদি আনন্দ না থাকে অর্থ বিত্ত সম্পদ কোন কাজে আসে না। এই শহরে এখন অনেক বিত্তবান আছেন যারা মানুষ তথা জীব এর কল্যানে এগিয়ে আসে না। এরা জড় পদার্থের মত। এই মুজিব বর্ষে আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করছি জাতির জনক এর স্মৃতির কথা। তিনি জীবদ্দশায় কাউকে কস্ট দেননি। কোন অপকর্মে লিপ্ত হননি। অর্থ বিত্ত সম্পদের দিকে তাকাননি। শুধৃু মানুষ তথা দারিদ্র নিস্পেশিত বাঙ্গালী জাতির মুক্তির লড়াই সংগ্রামই করে গেছেন। তার সৎ জীবন আমাদের সকলের কাছেই অনুকরনীয়।
শিশু বন্ধু ক্লাব রত্নাগর্ভ মা জাহানারা বেগমকে স্বর্ণ খচিত ”মা” লেখা ক্রেষ্ট ও সন্মননা স্মারক প্রদান করে। একই সাথে মেয়র আশরাফুল আলম লিটনকে স্বর্ণ খচিত তার নাম লেখা তার নিজের একটি ছবি বাঁধাই করে উপহার দেয়। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে শিশু বন্ধু ক্লাবে সদস্যরা বেনাপোল পৌর এলাকার মধ্যে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন ৭ টি স্থাপনার কারু কাজ তৈরী করে অনুষ্ঠান স্থলে নিয়ে আসে; যা ছিল দৃষ্টি নন্দন। এই ৭ টি স্থাপনার কারুকাজ যারা তৈরী করেছে ১) পৌর গেট রায়না সারা খান, ২) বেনাপোল বর্ডার গেট মিফফাতুল জান্নাতুল ঐশি, মাশকুরা আক্তার লিপি,ফাহজারা তাবাসুম,৩) স্মৃতি স্তম্ভ হাবিবাতুম সাদিয়া ৪) বেনাপোল পৌর ভবন তানিশা আজ মিতু ৫) পৌর বিয়ে বাড়ি ফারহানা আক্তার ৬) ট্রাক টার্মিনাল মোহনা আফরিন ৭) বাস টার্মিনাল লুবানা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার মুন্নি। এই কারু কাজ তৈরীতে সহযোগিতা করেছেন বন্দর প্রি-ক্যাডেট স্কুল এর শিক্ষিকা শাহিনা সুলতানা মিলি। অনুষ্ঠানটির সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন শিশু বন্ধু ক্লাবের পরিচালক মুশফিকুর রহমান সাকিব।