শার্শা প্রতিনিধি : দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় খুলনা বিভাগের অর্ন্তগত যশোর জেলার শার্শা উপজেলাধীন সীমান্ত ঘেরা একটি ইউনিয়ন বেনাপোল। ১৯৪৭ সাল থেকে অনেক ইতিহাস ও গুরুত্ব বহন করে যশোর-কোলকাতা মেইন সড়কের পাশে বেনাপোল বাজারের উপর দাড়িয়ে আছে এ ইউনিয়ন পরিষদটি। দীর্ঘ ৭৩ বছর সেবা দিয়ে যাওয়া বয়সের ভারে জরাজীর্ণ বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার করতে গিয়ে ষঢ়যন্ত্রকারিদের রোষানলে পড়ছেন উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান।
আধুনিক সভ্যতা আর আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সেবার অলঙ্কারের মধ্যে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদটি খুবই বে-মানান হওয়ায় বহুকালের ইতিহাস বহনকারি এ পুরাতন ভবনের ছাল চামড়া ছাড়িয়ে আর মেইন ফটকের পাশের নোংরা টয়লেট ভেঙ্গে মরা গাছে ফুল ফোটানোর ন্যায় সংস্কার করছেন বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান। যা দেখে ইশান্বিত হয়ে আক্রোশে ফেটে পড়েছেন এ ইউনিয়ন পরিষদের বুক চিরে গড়ে ওঠা অন্য একটি অপশক্তি মহল। এ উন্নয়নের বিষয় নিয়ে তারা প্রকাশনা ও সম্পাদনায় স্থানীয় দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকায় বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিন ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ বলে জানালেন চেয়ারম্যান বজলুর রহমান।
উক্ত সংবাদে লেখা হয়েছে, যশোরের বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের দীর্ঘদিনের পাবলিক টয়লেটটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে দোকান। অথচ এটি ছিল প্রকৃতির ডাক সামলাতে পথচারী, ব্যবসায়ী, ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবা গ্রহীতাসহ নানা মানুষের ভরসাস্থল। এর পাশেই রয়েছে থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড। একে কেন্দ্র করে সকাল-দুপুর-রাতে শ শ যাত্রীর আনাগোনা হয়। তাদের উপকারে আসতো এ টয়লেটটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহুকাল ধরে ইতিহাস বয়ে বেড়ানো বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদটি বয়সের ভারে ছাল চামড়া ছেড়ে দেওয়াই এবং ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নোংরাই ভরা টয়লেট থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে আসা-যাওয়া করা সাধারণ নাগরিকদের মুখে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে আসা যাওয়া করতে হয়। যা দীর্ঘদিন পরে হলেও ইউনিয়ন পরিষদের সৌন্দর্যের কথা ভেবে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টয়লেট ভেঙে সেখানে সৌন্দর্যবর্ধণ মার্কেট নির্মাণ এবং পুরাতন ভবনের ছাল-চামড়া ছাড়িয়ে টাইলসযুক্ত ডেকোরেশন করে ডিজিটালের ছোঁয়া দিচ্ছেন। যা আগন্তুকদের মুগ্ধ করবে।
কথা হয় বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন স্থাপিত হলেও এ যাবত অনেক চেয়ারম্যান এখানে বসে সেবা দিয়েছেন কিন্তু কেউ ভবনটির সংস্কার করেননি। যেকারণে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি দিনে দিনে তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে বয়সের ভারে খারাপের দিকে যাচ্ছিল। এছাড়া, সামনের অংশে নোংরা ভরা টয়লেট থাকায় ফুটপথ দিয়ে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষসহ পরিষদে আসা-যাওয়া করা মানুষগুলো মুখে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে যাতায়াত করত এবং ছিঃ ছিঃ করত। এছাড়া বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদটি যশোর-কোলকাতা সড়কের পাশে হওয়ায় সারাক্ষন বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বেনাপোল পৌরসভা কর্তৃক থ্রি-হুইলার চালিত জেএসএ, ইজিবাইক ও ভ্যানওয়ালাদের অলিখিত ষ্ট্যান্ড বানিয়ে অবৈধ সুবিধা নেওয়ায় পরিষদের সামনে থাকা টয়লেট কোনভাবে পরিস্কার করে রাখা সম্ভব হয়না। যেকারণে সম্পূর্ণ নিয়মের মধ্যে থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মেইন ফটকের পাশের টয়লেট ভেঙে সেখানে ছোট একটি মার্কেট নির্মাণ এবং জরাজীর্ণ ইউনিয়ন ভবনটির ছাল-চামড়া ছাড়িয়ে সংস্কারের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ইউনিয়ন পরিষদ করার চেষ্টা করছি। যা আগন্তুকদের দৃষ্টি কাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যশোর-কোলকাতা মহাসড়কের পাশে এবং তিন রাস্তার মোড়ে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদটি স্থাপিত। যা নিজ আয়ত্বে নেওয়ার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেনাপোল পৌরসভার প্রধান ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। সাথে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অলিখিত থ্রি-হুইলার চালিত ষ্ট্যান্ড করে দেওয়ায় মোড়টি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অচিরেই এ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরিয়ে না দিলে বেনাপোল পৌরসভার অবৈধ সুবিধা নেওয়ার কারণে যেকোন সময় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।যে মহলটি আপনার পিছনে লেগেছে তারা পিছনে কি ছিলেন বর্তমানে কি হয়েছেন বেনাপোল পৌরবাসীর সবাই জানেন তারা তো ভালো কাজ করতে জানেন না। এবং কাউকে ভালো কাজ করতে দেবেন না চেয়ারম্যান সাহেব আপনার পছন্দের কাজ আপনি করে যেতে থাকুন আপনার নামে নিউজটা করা হইয়াছে সেই পেপারের নাম বেনাপোলের অনেক লোক নামো শুনে নেই যাকে বলে টিস্যু পেপার আল্লাহর উপর ভরসা রেখে কাজ চালিয়ে যান।