শার্শা প্রতিনিধি: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার সুপার জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২০ ইং সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে পুঁজি করে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুর ইসলাম সরদার। নতুন জনবল কাঠামোর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানে চলতি বছরে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজের খেয়াল খুশি মতো লোক পছন্দ করে নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও অবৈধ পথে হাটছেন বলে দাবি করেন নুর ইসলাম সরদার। মিডিয়াকে তিনি ভিডিও জবানবন্ধি দিয়ে বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৪র্থ শ্রেণি পদে দপ্তরি ও আয়া হিসাবে দুটি পদের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আমি আমার পুত্রবধুর জন্য দুটোর যে কোন একটিতে আবেদন দাখিল করেছি। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে উক্ত পদের জন্য আমার অগ্রাধীকার বেশি থাকলেও কোটি টাকার বিনিময়ে হলেও আমার পুত্রবধুর চাকরি হবেনা বলে সুপার জাহিদুল ইসলাম উচ্চস্বরে জানিয়ে দেন। পরে বার বার আমাকে উল্টো ২ লাক টাকা নিয়ে আবেদন তুলে নেওয়ার জন্য বলেন। কারন খুঁজতে সুপারের কাছে জিজ্ঞেসা করলে সুপার আমাকে বলেন আমার সভাপতি শাহজাহান আলী মহোদয়ের নিজের কোন এক আত্মীয়কে চাকরিটি পাইয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সেখান থেকে তিনি মোটা অঙ্কের অর্থের লোভে এই অর্থ বাণিজ্য খেলায় লিপ্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার জাহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি মোবাইলে বক্তব্য দিবেন না বলে কথা এড়িয়ে যান এবং লাইনটি কেটে দেন। জানতে চাইলে মাদরাসার গর্ভনিং বডির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যতোসব প্রশ্ন উঠেছে সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। নিয়োগে কোনরকম অস্বচ্ছতা থাকবে না। সঠিক নিয়ম মেনেই প্রার্থী বাছাইয়ের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। পুরো স্বচ্ছতার সহিত কার্যক্রম শেষ হবে। এদিকে অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুর ইসলাম সরদার বলেন, আমার পুত্রবধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একাদশ শ্রেণি পাশ।আমি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তারপরও আমার অগোচরে সুপার সাহেব অর্থলোভে চক্রান্ত করে আমার উপর অবৈধভাবে বল প্রয়োগ করছে। আমি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি যাহাতে নিয়োগ প্রক্রীয়া সচ্চ ও নিয়ম মাফিক হয় সে বিষয়ে যেন একটু ক্ষতিয়ে দেখা হয়।